কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে রদবদলের সম্ভাবনা আপাতত খারিজ করে দেওয়ার চেষ্টা করলেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। কর্নাটকে কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে সরিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারের অনুগামী বিধায়করা তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি তুলেছিলেন। বিধায়কদের সঙ্গে আলাদা ভাবে বৈঠকের পরে কর্নাটকে কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা আজ শিবকুমারকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। এবং জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘সরকারের নেতৃত্ব পরিবর্তন নিয়ে বিধায়করদের মত চাওয়া হয়েছে কি না, এ নিয়ে প্রশ্নের একটা শব্দেই স্পষ্ট উত্তরদিচ্ছি— না।’’
শিবকুমার নিজেও আজ দাবি করেছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাইছেন না। তাঁর কাছে কংগ্রেসের শৃঙ্খলা সবথেকে বড়। তবে তিনি মুখে এ কথা বললেও কংগ্রেস সূত্রের খবর, শিবকুমার একই সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ধরে রেখেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর পদ না পেলে তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়বেন না। মন্ত্রিসভার রদবদলেও তিনি বাধা দিচ্ছেন।
২০২৩-এর মে মাসে কর্নাটকে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরেই সিদ্দারামাইয়া না শিবকুমার, কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়েছিল। পরে সিদ্দারামাইয়াকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। সেই সরকারের অর্ধেক সময় বা আড়াই বছর পার হওয়ার আগেই শিবকুমারের অনুগামীরা এ বার তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি তুলেছেন। তাঁর অনুগামী বিধায়ক ইকবাল হুসেনের দাবি, ‘‘দলের ১৩৭ জন বিধায়কের মধ্যে ১০০ জনের বেশি নেতার সমর্থন শিবকুমারের পক্ষে। মুখ্যমন্ত্রী পদে বদল না হলে কংগ্রেস ২০২৮-এর বিধানসভা ভোটে জিতে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না। শিবকুমারই ২০২৩-এ দলকে ক্ষমতায় এনেছেন। তাই তিনিই মুখ্যমন্ত্রী পদের যোগ্য।’’
আজ অবশ্য শিবকুমার নিজে বললেন, ‘‘কারও সমর্থন চাই না। কারণআমি মুখ্যমন্ত্রী পদের দিকে নজর দিচ্ছি না। আমার লক্ষ্য কংগ্রেসকে ২০২৮-এ ক্ষমতায় আনা।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)