লোকসভার মতো দিল্লির বিধানসভা ভোটে আপের সঙ্গে আসন সমঝোতায় যায়নি কংগ্রেস। উল্টে আপের ভোট কেটে অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে হারিয়ে কংগ্রেসের নেতারা যারপরনাই খুশি হয়েছিলেন। এ বার পঞ্জাবে আপ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে দু’বছর আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিল কংগ্রেস।
আজ পঞ্জাবের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় কংগ্রেসে ওই রাজ্যের নতুন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ভূপেশ বঘেল। ২০২৭-এ পঞ্জাবের বিধানসভা ভোট। বঘেল আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে চাইছেন। কারণ, পঞ্জাবের প্রদেশ সভাপতি অমরিন্দর সিংহ রাজা ওয়ারিংয়ের কাজে বাকি নেতারা খুশি নন। আজও নভজ্যোৎ সিংহ সিধু গরহাজির থেকে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জল্পনাই উস্কে দিয়েছেন। তবে আজকের বৈঠকে পঞ্জাবের কংগ্রেস নেতারা বলেছেন, ভগবন্ত মান সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরতে ‘মাইক্রো ম্যানেজমেন্ট’-এর রাস্তায় হাঁটতে হবে। বঘেল বলেন, আপ ছেড়ে নেতারা বেরিয়ে যাচ্ছেন। নৌকাডুবি হতে চলেছে। কবে হবে, সেটাই প্রশ্ন। এর পরের বৈঠকে বুথ স্তরের প্রচার নিয়ে আলোচনা হবে।
মূলত কৃষক, তরুণ, মহিলা, দলিতদের দাবিদাওয়া ও পঞ্জাবের মাদক-সমস্যাকে তুলে ধরে কংগ্রেস ভোটে যাবে। বুথ স্তরে কমিটি তৈরি করে কংগ্রেস কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সম্প্রতি ইডি বঘেলের ভিলাইয়ের বাড়িতে হানা দিয়েছিল। বঘেলের বক্তব্য, তিনি যখনই অসম, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, হিমাচল বা পঞ্জাবের মতো রাজ্যে কংগ্রেসের ভোট পরিচালনার দায়িত্ব পান, তখনই তাঁর বাড়িতে ইডি, সিবিআই বা আয়কর দফতর হানা দেয়।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)