রাহুল ও রবিশঙ্কর। ফাইল চিত্র।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের জমানায় দেশের গণতন্ত্র বিপন্ন হয়ে পড়েছে বলে শুক্রবার সকালে সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। কিছু ক্ষণের মধ্যেই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ প্রশ্ন তুললেন, ‘কংগ্রেসের অন্দরে কি আদৌ কোনও গণতন্ত্র রয়েছে?’’
রাহুল শুক্রবার বলেন, ‘‘প্রতি দিন দেশে গণতন্ত্রের মৃত্যু হচ্ছে। সংবিধান লঙ্ঘিত হচ্ছে। গণতন্ত্র স্মৃতির পাতায় চলে গিয়েছে।’’ মোদী সরকারের জমানায়, ধাপে ধাপে গণতন্ত্রের বিপন্নতার প্রতিবাদে হাতে কালো ব্যান্ড পরেন তিনি। রাহুলের অভিযোগ, ‘‘চার জনের কথায় দেশ চলছে। তাদের কথায়, যা ইচ্ছে, তা-ই হচ্ছে। আর তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেই বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে।’’ সংসদের অন্দরেও বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রাহুল।
যদিও তাঁর সেই অভিযোগ খারিজ করে সাংবাদিকদের উদ্দেশে রবিশঙ্কর বলেছেন, ‘‘কংগ্রেসের নেতা নির্জলা মিথ্যা বলছেন। আপনারা সকলেই দেখেছেন, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে। কংগ্রেস কী ভাবে সরকারকে আক্রমণ করেছে।’’
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডির হানাদারি প্রসঙ্গে রাহুলের অভিযোগ, ‘‘বিজেপির আমলে দেশ জুড়ে একনায়কতন্ত্র চলছে, দেশের তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করছে কেন্দ্র। কথা বললেই ইডি দেখানো হচ্ছে। যারা ধমকায় তারাই আসলে ভয় পায়। এরা মিথ্যে কথা বলে, তাই ভয় পায়। জনতার ক্ষমতাকে ভয় পায়।’’ দেশের আইন ও বিচারব্যবস্থার ভরসায় বিরোধীরা লড়াই চালিয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
করোনাকালে দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রাহুল। তিনি বলেন, ‘‘দেশের সরকার লোকের চোখে ধুলো দিচ্ছে। তারা বলছে দেশের পারফরম্যান্স ভাল। এরা স্টার্ট আপ ইন্ডিয়ার কথা বলে। সেখানেও ছাঁটাই করছে কর্মীদের।’’
জবাবি সাংবাদিক বৈঠকে রবিশঙ্করের কটাক্ষ, ‘‘রাহুল গাঁধীর ঠাকুমা দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। বড় বড় সাংবাদিকদের জেলে ভরা হয়েছিল। রাহুল গাঁধীর ঠাকুমা ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিচারব্যবস্থার’ কথা বলেছিলেন! কিছু মনে আছে? আর আপনারাই আমাদের গণতন্ত্রের উপদেশ দেন!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy