তাইওয়ান প্রণালীতে বাড়ছে চিনা যুদ্ধবিমানের গতিবিধি। ছবি: রয়টার্স।
চিনা বিমানবাহিনীর যুদ্ধ মহড়ার কারণে তাইওয়ানের আকাশপথে ঢুকতে পারছে না বিভিন্ন দেশের অসামরিক উড়ান। এই পরিস্থিতিতে তাইপেইয়ের শোংশান বিমানবন্দর থেকে এক-এক করে বিদেশি বিমান মুখ ঘুরিয়ে নিতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেই আশঙ্কা সত্যি হলে আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে তাইওয়ান সরকার।
মঙ্গলবার রাতে হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইপেই পৌঁছনোর পরেই তাইওয়ান প্রণালীতে সক্রিয়তা শুরু করে চিনা বিমানবহর। তাইওয়ানের বিরুদ্ধে ‘সুনির্দিষ্ট সামরিক অভিযানের’ হুমকিও দেওয়া হয়। বুধবার পেলোসির বিমান তাইওয়ান ছেড়ে দক্ষিণ কোরিয়া পাড়ি দেওয়ার পরে তাইওয়ানের আকাশে চিনা বিমানবহরের গতিবিধি আরও বেড়েছে। জবাবে ‘তৎপরতা’ শুরু করেছেন তাইওয়ানের বায়ুসেনাও।
এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই বহু বিমান সংস্থা তাদের তাইওয়ানের উড়ান বাতিল করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান সংস্থা তাদের শুক্র ও শনিবারের তাইপেই ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা করে জানিয়েছে, রবিবার পরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি, এশিয়া এবং ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উড়ানপথও বদলেছে। নিরাপত্তার কারণে পরিহার করা হচ্ছে তাইওয়ানের ‘এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল’ (এটিসি) নিয়ন্ত্রিত আকাশপথ। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস জানিয়েছে, তাইওয়ানের সতর্কবার্তা পেয়েই আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে উড়ান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy