Advertisement
E-Paper

দিল্লি বিস্ফোরণ: ‘ঘাতক’ গাড়ির অদূরে পার্ক করা সব গাড়িকে শনাক্ত করল পুলিশ, জিজ্ঞাসাবাদ চালক ও যাত্রীদের

গত সোমবার দুপুর ৩টে ১৯ মিনিট নাগাদ লাল কেল্লার অদূরে সুনেহরি মসজিদের পার্কিং এলাকায় ঢুকেছিল সাদা রঙের হুন্ডাই আই২০ গাড়িটি। সেখানেই গাড়িটি তিন ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে ছিল। ওই সময়ের মধ্যে যে সব গাড়ি পার্কিং লটে ঢুকেছিল, এ বার সেই সব গাড়িকে শনাক্ত করেছেন তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:৪১
বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলের দৃশ্য।

বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলের দৃশ্য। — ফাইল চিত্র।

দিল্লিতে বিস্ফোরণের আগে লাল কেল্লার পার্কিং লটে প্রায় তিনঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিল ‘ঘাতক’ গাড়িটি। এ বার ওই গাড়ির অদূরে দাঁড় করানো সমস্ত গাড়িকে শনাক্ত করল পুলিশ। তদন্তকারী সূত্রে খবর, ওই সব গাড়ির মালিক ও চালকদের নামের তালিকা তৈরি করে তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। একে একে সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

শনিবার তদন্তকারী এক কর্তা জানিয়েছেন, গত সোমবার দুপুর ৩টে ১৯ মিনিট নাগাদ লাল কেল্লার অদূরে সুনেহরি মসজিদের পার্কিং এলাকায় ঢুকেছিল সাদা রঙের হুন্ডাই আই২০ গাড়িটি। সেখানেই গাড়িটি তিন ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে ছিল। ওই সময়ের মধ্যে যে সব গাড়ি পার্কিং লটে ঢুকেছিল, এ বার সেই সব গাড়িকে শনাক্ত করেছেন তদন্তকারীরা। গাড়িগুলির রেজিস্ট্রেশন নম্বরের সূত্র ধরে মালিকদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। একে একে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। ওই গাড়ির চালকেরা বিস্ফোরণে জড়িত সাদা গাড়ি কিংবা তার চালক উমর উন-নবিকে দেখেছিলেন কি না, সে সময় উমর কী করছিলেন, তাঁর গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়েছিল কি না, গাড়িতে আর কে কে ছিলেন— এ সব নানা প্রশ্ন করা হচ্ছে তাঁদের। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারাগুলির অধীনে আলাদা করে আর একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল। জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)-এর পাশাপাশি পৃথক ভাবে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তিন ঘণ্টায় পার্কিং লটের ভিতরে ঠিক কী কী ঘটেছিল, তার পুনর্নির্মাণ করার জন্যই ডেকে পাঠানো হয়েছে অন্য গাড়িগুলির চালকদের। হরিয়ানার আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ছিলেন উমর। সূত্রের খবর, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৫ জন ডাক্তার বর্তমানে নিখোঁজ। এঁদের সঙ্গে আর এক ধৃত চিকিৎসক মুজ়াম্মিল আহমেদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। সে সব কল রেকর্ড সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

রবিবার রাতে ফরিদাবাদে প্রথম দেখা গিয়েছিল ঘাতক গাড়িটিকে। এর পর দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের উপর গাড়িটিকে ফের দেখা যায়। এখানে পর পর দু’বার দাঁড়িয়েছিলেন উমর। প্রথম বার রাস্তার ধারে একটি ধাবার সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে খাবার খেয়েছিলেন। আর এক বার ফিরোজ়পুর জিরকা মসজিদে গিয়েছিলেন। পরে আরও একটি খাবারের দোকানের সামনে ওই গাড়ি দাঁড় করানো হয়েছিল। সেখানেই গাড়ির ভিতর রাত কাটান উমর। সোমবার সকাল থেকে গোটা শহর চষে বেড়াতে শুরু করেন। কখনও ওখলা, কনট প্লেস, কখনও আবার পূর্ব দিল্লি থেকে মধ্য দিল্লিতে চলে যান তিনি। ১টা নাগাদ মধ্য দিল্লির আসফ আলি রোডের একটি মসজিদের পার্কিং এলাকায় পৌঁছোন। সেখানে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করে উমরের গাড়ি। বিকেল ৩টে ১৯ মিনিটে ঢোকেন লালকেল্লার সামনে সুনেহরি মসজিদের পার্কিংয়ে। এখানে আরও তিন ঘণ্টা দাঁড়ায় গাড়িটি। সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে গাড়ি নিয়ে লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের দিকে এগিয়ে যান উমর। তার আধঘণ্টা পরেই বিস্ফোরণ ঘটে গাড়িতে।

Delhi Delhi Blast Red Fort Explosion
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy