Advertisement
১১ মে ২০২৪
Coronavirus

দৈনিক সংক্রমণ ৬ মাস পর কমে ১০ হাজারে নেমে এল

৬ মাসেরও বেশি সময় পর একদিনে নতুন আক্রান্ত এত কম হল। ১২ জুন প্রথমবারের জন্য ১০ হাজার পেরিয়েছিল।

দেশের কোভিড পরিসংখ্যান।

দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

নিজস্ব প্রতিবেদন
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২১ ১১:১৮
Share: Save:

নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে দেশের দৈনিক সংক্রমণ। কমতে কমতে মঙ্গলবার তা ১০ হাজারে নামল। ৬ মাসেরও বেশি সময় পর একদিনে নতুন আক্রান্ত এত কম হল। ১২ জুন প্রথমবারের জন্য ১০ হাজার পেরিয়েছিল । তার পর যত দিন গিয়েছে ধাপে ধাপে তা বেড়েছিল। এক লাখের দোরগোড়া থেকে নেমে এখন ১০ হাজারে। দৈনিক মৃত্যুও অনেকদিন ধরেই ২০০-র নীচে থাকছে। সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও কমে ২ লক্ষে নেমেছে। চুম্বকে এটাই দেশের করোনা-চিত্র।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৬৪ জন। এখনও অবধি দেশে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৫ লক্ষ ৮১ হাজার ৮৩৭ জন। মোট আক্রান্তে বিশ্বে প্রথম আমেরিকা। সেখানে মোট আক্রান্ত ২ কোটি ৪০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। সে দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা গড়ে দেড়-দুই লক্ষ। ভারতের পিছনে তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলেও দৈনিক সংক্রমণ গত এক মাসে ধরে বেশি। সেখানে মোট আক্রান্ত ৮৫ লক্ষ ১১ হাজার।

করোনাভাইরাস দেশে এখনও অবধি ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৫৫৬ জনের প্রাণ কেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৩৭ জন। দেশে মোট মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশই মহারাষ্ট্রে। সেখানে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। কর্নাটক এবং তামিলনাড়ুতে তা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে। দিল্লিতে তা সাড়ে ১০ হাজার পার করেছে। পশ্চিমবঙ্গেও তা ১০ হাজার পেরিয়েছে। উত্তরপ্রদেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশও সংখ্যাটা উল্লেখযোগ্য।

এ সবের পাশাপাশি দেশে সুস্থতার হার শুরু থেকেই বেশি। দেশে কোভিড রোগীর সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। ১ কোটি ২ লক্ষ ২৮ হাজার ৭৫৩ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ৪১১ জন। এই সুস্থতার জেরে কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। কমতে কমতে তা হয়েছে ২ লক্ষ ৫২৮ জন। দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৭ লক্ষ ৯৭ হাজার ৭৯১ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সংক্রমণের হার ১.৪২ শতাংশ।

পশ্চিমবঙ্গেও দৈনিক আক্রান্ত উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে গত ক’দিনে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮৯ জন। এ রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৬৬১ জন। যদিও এর মধ্যে ৫ লক্ষ ৪৮ হাজার মানুষই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

COVID-19 Coronavirus Coronavirus in India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE