ফাইল ছবি
দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় কম শক্তিশালী হলেও চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই দেশে আছড়ে পড়তে পারে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ। সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ৪০ জন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, বিজ্ঞানী, ভাইরোলজিস্টদের মতামত নিতে একটি সমীক্ষা চালায়। সকলের মতামত নেওয়ার পর দেখা যায়, বেশির ভাগই বলছেন, দেশে অক্টোবরেই আছড়ে পড়তে চলেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তার রেশ চলতে পারে আরও এক বছর। তবে দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো তীব্রতা থাকবে না তৃতীয় ঢেউয়ের।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ক্রমে টিকাকরণের গতি বৃদ্ধি ও প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়ার ফলে দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো তীব্র আকার হয়ত ধারণ করবে না তৃতীয় ঢেউ, কিন্তু সংক্রমণ ফের বাড়বে। হাসপাতাল ও চিকিৎসা পরিকাঠামো সামান্য সময়ের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে, তার দৌলতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যাবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া আগেই বলেছিলেন, টিকাকরণ ও প্রাকৃতিক ভাবে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলেই তৃতীয় ঢেউয়ের তীব্রতা কিছুটা কমবে। বিশেষজ্ঞরাও সেই দিকেই ইঙ্গিত করছেন।
যদিও অনেকেই শিশুদের বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তৃতীয় ঢেউয়ের শিশুদের বিপদই সবচেয়ে বেশি বলে মনে করছেন তাঁরা। কারণ, শিশুরাই একমাত্র, যাঁদের টিকাকরণ এখনও শুরু হয়নি। বিশেষজ্ঞদের এক তৃতীয়াংশ, অর্থাৎ ৪০ জনের মধ্যে ২৬ জন বলেছেন, তৃতীয় ঢেউ এলে তাতে সমস্যায় পড়তে হবে শিশুদের। প্রখ্যাত চিকিৎসক দেবী শেঠি জানিয়েছেন, ‘‘বিপুল সংখ্যায় শিশুরা আক্রান্ত হলে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর দিক থেকে সত্যিই আমরা প্রস্তুত নই। শেষ মুহূর্তে এসে আমাদের সত্যিই আর কিছু করার নেই। দেশে শিশু চিকিৎসার জন্য আইসিইউ বেডের সংখ্যা খুবই কম। এর ফলে ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে পারে।’’ অবশ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ১৪ জন জানিয়েছেন, তৃতীয় ঢেউয়ের কারণে শিশুদের বিশেষ কোনও ঝুঁকি নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy