Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

চিনে জ্বরের ওষুধের আকাল, পাশে দাঁড়াচ্ছে ভারত

চিনা নাগরিকদের একাংশের মধ্যে ‘ভবিষ্যতের’ কথা ভেবে জ্বরের ওষুধ মজুত করার প্রবণতা দেখা দেওয়ায় সঙ্কট আরও বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিবেশীর সাহায্যে সক্রিয় হয়েছে ভারত।

করোনা সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে চিনে।

করোনা সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে চিনে। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:৩২
Share: Save:

করোনা-বিধ্বস্ত চিনে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠাবে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ভারতে ওষুধ রফতানি সংক্রান্ত সংস্থা ‘সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন’ (সিডিএসসিও)-এর তরফে এ কথা জানানো হয়েছে।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চিনে করোনা সংক্রমণের হার ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। করোনাভাইরাসের নতুন উপরূপ ওমিক্রন বিএফ.৭-এর কারণেই চিন জুড়ে শুরু হয়েছে নয়া সংক্রমণ-পর্ব। কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তিদের বড় অংশেরই জ্বর-সহ অন্যান্য উপসর্গ রয়েছে। ফলে ভিড় বাড়ছে হাসপাতালগুলিতে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাব দেখা দিয়েছে চিনে।

অতিমারি বিশেষজ্ঞ এরিক ফাইল-ডিং বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, চিনে জ্বরের ওষুধ প্রায় অমিল। দোকানে জ্বরের ওষুধ বাড়ন্ত হওয়ায় সরাসরি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার গুদামে গিয়ে ওষুধ কিনে আনছেন সে দেশের অনেক নাগরিক। পাশাপাশি, নাগরিকদের একাংশের মধ্যে ‘ভবিষ্যতের কথা ভেবে’ ওষুধ মজুত করার প্রবণতা দেখা দেওয়ায় সঙ্কট আরও বেড়েছে।

কোভিড পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটও অমিল চিনে। জ্বরে আক্রান্তেরা কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য দোকানে টেস্ট কিট কিনতে গিয়েও পাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ওষুধ উৎপাদনকারী দেশ ভারত। লাদাখ, অরুণাচলে চিনা ফৌজের ধারাবাহিক আগ্রাসনের আবহেও প্রতিবেশীর সাহায্যে সক্রিয় হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সঙ্কটের মোকাবিলায় বেজিংকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেবে নয়াদিল্লি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus China Fever medicine COVID-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE