হিন্দু রাও হাসপাতাল।—ছবি সংগ-হীত।
রাজধানী দিল্লির হাসপাতাল। বিজেপি চালিত উত্তর দিল্লি পুরসভার অধীন হাসপাতাল। সেই হিন্দু রাও হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সদের একাংশ করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় তাঁদের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সামগ্রী মিলছে না বলে পদত্যাগ করেছেন গত কাল। তাঁদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত মাস্ক, শরীর ঢাকার কভারঅল, হ্যাজম্যাট-এর সামগ্রী মিলছে না।
সুরক্ষার দাবিতে চিকিৎসক-নার্সরা সরব হচ্ছেন দেশ জুড়েই। দেশের অন্যান্য হাসপাতালের সঙ্গে দিল্লির এমস-এর ডাক্তাররাও এই একই অভিযোগ তুলেছেন। আজ ফের এমস-এর আবাসিক ডাক্তারদের সংগঠন অভিযোগ তুলেছে, ডাক্তারদের ‘পার্সোনাল প্রোটেকশন ইক্যুইপমেন্ট’ কেনার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ভারত ডায়নামিক্স-এর দেওয়া ৫০ লক্ষ টাকা রাখা হয়েছিল। এমস প্রশাসন আচমকাই তা পিএম-কেয়ারস তহবিলে দান করে দিয়েছে।
হিন্দু রাও হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সরা পদত্যাগ করার পরে পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রথমে ফরমান জারি করেছিলেন, কারও পদত্যাগ গ্রহণ করা হবে না। বরং ডাক্তারদের নাম মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে এবং নার্সদের নাম নার্সিং কাউন্সিলের কাছে পাঠানো হবে, যাতে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এমস-এর আবাসিক ডাক্তার সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি হরজিৎ সিংহ ভাট্টি তার পরে বলেন, “কিসের ভিত্তিতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে? ডাক্তাররা সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়া কাজ করতে বাধ্য নন।” এর পরে অবস্থান পাল্টায় পুরসভা। পুরসভার কমিশনার বর্ষা জোশী দাবি করেন, অতিমারির সময় কেউ কাজ করতে না চাইলে পদত্যাগ করতে পারেন। তবে সুরক্ষা সামগ্রীর কোনও অভাব নেই। তাঁর যুক্তি, চুক্তিতে নিযুক্ত হাতে গোনা কয়েক জন ডাক্তারই পদত্যাগ করতে চেয়েছেন। সরকারি তথ্য অবশ্য বলছে, ওই হাসপাতালের ৮০ শতাংশ ডাক্তার-নার্সই চুক্তিতে নিযুক্ত।
বিরোধীদের অভিযোগ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা সত্ত্বেও মোদী সরকার এ দেশে মাস্ক, ডাক্তারদের শরীর ঢাকার হ্যাজম্যাট স্যুট বা কভারঅল এবং ভেন্টিলেটর মজুত করেনি। উল্টে এ সবের কাঁচামাল বিদেশে রফতানির ব্যাপারে ঢালাও ছাড় দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও বাণিজ্য মন্ত্রক ও বস্ত্র মন্ত্রক সুরক্ষা সামগ্রী তৈরির মানদণ্ড ঠিক করতেই এক মাস সময় নিয়েছে বলেও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মহলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy