Advertisement
E-Paper

এক মাসেই দেশে কাজ হারিয়েছেন ১২ কোটি! সমীক্ষক সংস্থার রিপোর্টে ভয়ানক ইঙ্গিত

সিএমআইআই-এর ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দিনমজুরির ভিত্তিতে কাজ করা শ্রমিক এবং যাঁরা নিজে ছোটখাট ব্যবসা করেন তাঁরা।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২০ ১৩:৫৭
সারা দেশে এমনই ছবি। কাজ হারিয়ে ঘরে ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। ছবি: এএফপি

সারা দেশে এমনই ছবি। কাজ হারিয়ে ঘরে ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। ছবি: এএফপি

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ট্রেন চালু হতেই বোঝা যাচ্ছে বেকারত্বের ছবিটা। প্রতিদিন ট্রেনে করে নিজেদের রাজ্যে ফিরছেন হাজার হাজার শ্রমিক। রুজি-রুটির সংস্থান আপাতত বন্ধ। লকডাউন উঠে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ফের কর্মস্থলে ফিরলেও যে কাজ পাবেন, এমন নিশ্চয়তা নেই। ফলে অসংগঠিত ক্ষেত্রে পরিস্থিতি যে কতটা ভয়ানক হতে চলেছে, তার আঁচ করা যাচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার এই ঢল দেখেই। এই সংক্রান্ত একটি বেসরকারি সংস্থার হিসেবে গত এক মাসেই কাজ হারিয়েছেন ১২ কোটিরও বেশি মানুষ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সংখ্যাটা যে আরও বাড়বে, তা এখনই আঁচ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই গরিব, নিম্নবিত্তদের কর্মসংস্থানে জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার আরও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে এনডিএ। প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ বলে বরাবরই মোদীর বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। কিন্তু তবু যতটুকুও চেষ্টা করেছিল মোদী সরকার, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও তা রুখতে লকডাউনের জেরে গত তিন মাসে সেই চেষ্টা পুরোপুরি জলে গিয়েছে বলে মনে করছেন এই ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা। ফলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা ছেড়ে আপাতত অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের কাজ ফেরানোই বড় সঙ্কট হয়ে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্রের কাছে। সময় যত গড়াচ্ছে, আরও শোচনীয় হয়ে পড়ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থা।

বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান, অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি নিয়ে গবেষণা ও সমীক্ষাকারী বেসরকারি সংস্থা ‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি’ (সিএমআইআই)-এর তরফে দাবি করা হয়েছে, শুধুমাত্র মে মাসেই কাজ হারিয়েছেন প্রায় ১২ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর ছাড়পত্র না দেওয়া পর্যন্ত সেই চিত্রটা বোঝা যায়নি। কর্মস্থলে আটকে থাকায় ধরে নেওয়া হচ্ছিল যে, তাঁরা কাজ থেকে বরখাস্ত হননি। কিন্তু পরিযায়ীদের জন্য শ্রমিক স্পেশাল চালু হতেই ভয়াবহ চিত্রটা সামনে আসতে শুরু করে।

আরও পড়ুন: পরিস্থিতি স্থিতিশীল, আলোচনায় সমাধান সম্ভব, লাদাখ নিয়ে সুর নরম চিনের

আরও পড়ুন: পুলওয়ামার ধাঁচে হামলার ছক বানচাল, উদ্ধার বিপুল বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি

সিএমআইআই-এর ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দিনমজুরির ভিত্তিতে কাজ করা শ্রমিক এবং যাঁরা নিজে ছোটখাট ব্যবসা করেন তাঁরা। এর মধ্যে রয়েছেন হকার, ফুটপাতের ব্যবসায়ী, নির্মাণ শিল্পের শ্রমিক, রিকশা-অটো চালকদের মতো পেশার লোকজন।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন নিয়ে বহুজাতিক পরামর্শদাতা সংস্থা ‘আইপিই গ্লোবাল’-এর মতে, ভাইরাসের চেয়েও বেশি মানুষের মৃত্যু হবে অভাবে। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর অশ্বজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘বহু বছর ধরে দারিদ্র দূরীকরণে ভারত সরকারের সমস্ত প্রচেষ্টা মাত্র কয়েক মাসেই বিফল করে দিয়েছে।’’

Coronavirus in India Coronavirus Lockdown Migrant Labours Job
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy