করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গোটা বিশ্বে আশার আলো দেখাচ্ছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি টিকা। বিভিন্ন দেশেই ওই টিকা মানবশরীরে পরীক্ষা (হিউম্যান ট্রায়াল) করে দেখা হচ্ছে। সেই পরীক্ষার শেষ দুই ধাপের জন্য এ বার পুনের সেরাম ইনস্টিটিউটকে সবুজ সঙ্কেত দিল ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই দাবি করেছে, সেরাম ইনস্টিটিউটকে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ধাপে হিউম্যান ট্রায়াল চালিয়ে যাওয়ার জন্য ছাড়পত্র দিয়েছেন ডিসিজিআই ভিজি সোমানি। সেরাম ইনস্টিটিউটের দেওয়া নানা প্রস্তাব খতিয়ে দেখার পরেই শুক্রবার একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি হিউম্যান ট্রায়াল চালানোর জন্য অনুমোদন দেয়। তার পর রবিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে পুনের ওই প্রতিষ্ঠানটিকে হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ‘কোভশিল্ড’ নামে ওই টিকা দুটি পর্বে হিউম্যান ট্রায়ালে ছাড়পত্র মেলার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও।
সুইডিশ-ব্রিটিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রা জেনেকার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে সেরাম ইনস্টিটিউট। অ্যাস্ট্রা জেনেকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে টিকা তৈরি করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ডিসিজিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, পুণের ওই টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ধাপে ১৮ বছরের বেশি বয়স্ক প্রায় ১ হাজার ৬০০ মানুষের উপর ওই টিকা পরীক্ষা করতে চলেছে। দিল্লি, যোধপুর, পুণে, পটনা, চণ্ডীগড়, গোরখপুর, বিশাখাপত্তনম, মহীশূর, মুম্বই-সহ ১৭টি শহরে ওই টিকার হিউম্যান ট্রায়াল চলবে বলে জানা গিয়েছে।