দিনভর উত্তেজনার পর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদ নির্বাচনের গণনাই মাঝপথে বাতিল হয়ে গিয়েছিল। ফের নতুন করে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন এক নির্বাচনী আধিকারিক। কিন্তু শেষে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ফের শুরু হল গণনা। বেলা দেড়টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত, এই সাড়ে ৪ ঘণ্টা বন্ধ ছিল ভোট গণনা।
ছাত্রসংসদ নির্বাচনের গণনাকে কেন্দ্র করে দিনভর চরম নাটকীয়তার মুখোমুখি হল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। নির্বাচনে যে ইভিএম অর্থাৎ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে কারচুপি করা হয়েছে, এই অভিযোগে সকাল থেকেই সোচ্চার ছিলেন কংগ্রেস প্রভাবিত ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়া ওরফে এনএসইউআই-র প্রতিনিধিরা। এই নির্বাচনে এনএসইউআই-র মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল বিজেপি প্রভাবিত অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ ওরফে এবিভিপি।
সকাল থেকেই গণনা ও নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দিন ঘোষণা করার দাবি জানাচ্ছিলেন এনএসইউআই সদস্যেরা। অন্যদিকে গণনা চালিয়ে যেতে চাপ বাড়াচ্ছিলেন এবিভিপি সমর্থকেরা। এই নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়েন ছাত্রছাত্রীরা। পরিস্থিতি ঘোরালো হওয়ায় বেশ কয়েকবার গণনা বন্ধ রাখতে বাধ্য হন নির্বাচনী আধিকারিকেরা। বিষয়টি নিয়ে টুইট করেন এনএসইউআই জাতীয় নেত্রী রুচি গুপ্তা।
যদিও শেষ বেলায় ইভিএমে গণ্ডগোল থাকার কথা স্বীকার করে নেন নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ। ‘‘ আমরা ইভিএমের ত্রুটি সারিয়ে গণনা শুরু করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু পড়ুয়ারা রাজি না হওয়ায় আমরা এই নির্বাচনের গণনা বাতিল ঘোষণা করলাম। নতুন নির্বাচন ও গণনার দিনক্ষণ খুব শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে।’’ এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ভি কে কউল।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গণনায় ছ’টি রাউন্ডের শেষে সভাপতি এবং সম্পাদক পদে এগিয়ে ছিলেন এনএসইউআই প্রার্থী। অন্যদিকে শুধু মাত্র সহ-সভাপতি পদে এগিয়ে ছিলেন এবিভিপি প্রার্থী। এর পরই ত্রুটি আছে এই যুক্তিতে ছ’টি ইভিএম সরিয়ে রাখেন নির্বাচনী আধিকারিকেরা। যা মেনে নিতে চাননি এনএসইউআই প্রতিনিধিরা। জটিলতার শুরু তখন থেকেই।
বুধবারই রাজধানীর ৫২ টি কেন্দ্রে ভোট দেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। ভোটের হার ছিল ৪৪.৪৬ শতাংশ।
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)