ঝাড়খণ্ডে মাওবাদীদের পেতে রাখা বিস্ফোরক ফেটে জখম হয়েছিলেন। ২০ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা সেই আধাসেনা জওয়ানের মৃত্যু হল বৃহস্পতিবার। নিহত জওয়ানের নাম কৌশলকুমার মিশ্র (৫৮)। তিনি সিআরপিএফ-এ ইনস্পেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন।
গত ১০ অক্টোবর ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলায় মাওবাদী দমন অভিযান চালাচ্ছিল আধাসেনা বাহিনী। ওই সময়েই সারান্ডার জঙ্গলে মাওবাদীদের পেতে রাখা ‘ইম্প্রোভাইজ়ড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস’ (আইইডি) বিস্ফোরণ হয়। ওই বিস্ফোরণে মিশ্র-সহ তিন জন জওয়ান জখম হন। তাঁদের মধ্যে অসমের বাসিন্দা কনস্টেবল মহেন্দ্র লস্করের আগেই মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের পরে ওড়িশার রউরকেলায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান তিনি।
বিহারের বাসিন্দা সিআরপিএফ ইনস্পেক্টর মিশ্রই সেই দিন সারান্ডার জঙ্গলে অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। বিস্ফোরণের পরে ঝাড়খণ্ড থেকে ‘এয়ারলিফ্ট’ করে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লি এমসে। গত ১১ অক্টোবর থেকে দিল্লি এমসেই চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি। সিআরপিএফ-এর আধিকারিক সূত্রে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার ভোরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় মিশ্রের।
আরও পড়ুন:
ঝাড়খণ্ড-সহ দেশের যে সব এলাকায় এখনও মাওবাদীদের গতিবিধি দেখা যায়, ওই এলাকাগুলিতে ধারাবাহিক অভিযান চালাচ্ছে আধাসেনা বাহিনী। নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র বাহিনী পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র ‘মুক্তাঞ্চল’ হিসেবে একদা পরিচিত ছিল ঝাড়খণ্ডের সারান্ডা জঙ্গলের ওই অংশ। গত কয়েক মাস ধরে সেখানেও ধারাবাহিক অভিযান চালাচ্ছে আধাসেনা এবং পুলিশের যৌথবাহিনী।
গত মাসে সংঘর্ষে পশ্চিম সিংভূম জেলাতেই পিএলজিএ-র এরিয়া কমান্ডার অমিত হাঁসদা ওরফে আপ্তানের মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর মাথায় দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকা।