Advertisement
E-Paper

হেফাজতে প্রৌঢ়ের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য আগরতলায়! পরিবারের দাবি, পুলিশের অত্যাচারে ‘খুন’

পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কৈলাস নির্দোষ, কোনও লিখিত অভিযোগ ছাড়াই তাঁকে বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। শুধু তা-ই নয়, হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর উপর অত্যাচারও চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৫ ১৫:৪৮

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ফের পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হল অভিযুক্তের। রবিবার ত্রিপুরার আগরতলায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহতের নাম কৈলাস রায় (৫৮)। রবিবার পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীনই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার আগরতলার নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স (এনসিসি) থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। গোয়ালাবস্তির বাসিন্দা কৈলাস ১১ দিন ধরে পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। পরিজনদের দাবি, কৈলাস নিরপরাধ। ওই মামলায় মূল অভিযুক্ত তথা কৈলাসের ছেলে ফেরার ছিলেন বলে অভিযোগ। ছেলের উপর আত্মসমর্পণের চাপ সৃষ্টি করতেই কৈলাসকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে দাবি পরিবারের। অভিযোগ, হেফাজতে মারধর করা হয়েছিল ওই প্রৌঢ়কে। তাতেই মৃত্যু হয় কৈলাসের। রবিবার বিশালগড় কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জমিসংক্রান্ত একটি মামলায় সমন জারি করতে আসা এক আদালতের কর্মীকে বাধা দেওয়ার অভিযোগে কৈলাসকে হেফাজতে নিয়েছিল পুলিশ। যদিও আর এক অভিযুক্ত তথা তাঁর ছেলে ফেরার ছিলেন। এ বিষয়ে এলাকার সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) সুব্রত বর্মণ বলেন, ‘‘কৈলাস রায় ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। প্রথমে কৈলাসকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আদালতে হাজির করানোর পর তাঁকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। রবিবার আমরা খবর পাই, জেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে বিশালগড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’’ যদিও পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কৈলাস নির্দোষ, কোনও লিখিত অভিযোগ ছাড়াই তাঁকে বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। শুধু তা-ই নয়, হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর উপর অত্যাচারও চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। প্রৌঢ়ের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকাবাসীরা রবিবার এনসিসি থানার বাইরে জড়ো হয়ে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মৃতের দেহটি ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।

Agartala custodial death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy