কলকাতা থেকে ত্রিপুরার গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথে মঙ্গলবার তাঁকে নামিয়ে দিয়েছিল বিমান সংস্থা ইন্ডিগো। শুক্রবার সকালে অবশ্য বিমানেই আগরতলায় ফিরলেন আব্দুর রেজ্জাক। তবে কফিনবন্দি হয়ে। ত্রিপুরার সোনামুড়ায় এ দিনই শেষকৃত্য হয় তাঁর। ইন্ডিগোর বিরুদ্ধে মামলা করার কথা ভাবছেন রেজ্জাকের আত্মীয়স্বজন।
মঙ্গলবার দিল্লি থেকে কলকাতা ঘুরে আগরতলা যাওয়ার পথে ইন্ডিগো তাঁকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার পরে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যান রেজ্জাক। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ৩৯ বছরের ওই যুবকের মানসিক সমস্যা আছে। বুধবার বারাসতে রেললাইনের পাশে তাঁর ট্রেনে-কাটা মৃতদেহ পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার ময়না-তদন্তের পরে দেহটি দেওয়া হয় পরিজনদের হাতে।
পুরো ঘটনা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মঙ্গলবার কলকাতা বিমানবন্দরের টার্মিনালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, সে-দিন ইন্ডিগোর কর্মীদের সামনেই হেঁটে টার্মিনাল থেকে বেরিয়ে যান রেজ্জাক। তার আগে প্রায় দু’ঘণ্টা তাঁকে টার্মিনালে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। ইন্ডিগোর তরফে পুলিশকে জানানো হয়েছিল, রেজ্জাক তাদের কর্মীদের ধাক্কা মেরে পালিয়ে যান। যদিও ধাক্কা মারার দৃশ্য সিসিটিভি ফুটেজে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবারের ঘটনা কেন বৃহস্পতিবার পুলিশকে জানানো হল, সেই বিষয়েও ইন্ডিগোর জবাব তলব করা হয়েছে।
এ দিন সকালের উড়ানে রেজ্জাকের দেহ নিয়ে আগরতলা যান তাঁর ভাই ইউনুস মিয়াঁ। রেজ্জাকের অন্য আত্মীয়বন্ধুরা ছিলেন আগরতলা বিমানবন্দরে। পরে গ্রামে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। স্বামীর শেষকৃত্যে তাঁকে থাকতে দেওয়া হয়নি বলে রেজ্জাকের অভিযোগ করেছেন স্ত্রী রোশেনারা বেগম। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে এবং তাঁর সন্তানদের সেখান থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। অভিযোগ, সে-দিন দিল্লি থেকে আসার সময়ে রেজ্জাকের সঙ্গে ছিলেন রোশেনারার ভাই, রেজ্জাকের শ্যালক অনল হক। রেজ্জাককে কলকাতায় নামিয়ে দেওয়ার সময়ে বিমান সংস্থার কর্মীরা অনলকেও নেমে যেতে বলেন। কিন্তু বিমান সংস্থার অভিযোগ, অনল প্রথমে নামতে চাননি। পরে তিনি জানান, রেজ্জাককে তিনি চেনেনই না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy