—ফাইল চিত্র।
১১ জুলাই: শনিবার রাতেই ডাক পেয়ে দিল্লি চলে এসেছিলেন। আজ সারাদিনে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডার সঙ্গে দেখা করার ডাক পেলেন না বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সারা দিন নর্থ অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে বসেই অপেক্ষা করতে হল তাঁকে। দিলীপবাবু মোবাইলে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ম্যাচের রেকর্ডিং দেখেই সময় কাটালেন। সোমবার, নড্ডার সঙ্গে বৈঠক হতে পারে তাঁর।
কলকাতা ছাড়ার সময় দিলীপ নিজেই জানিয়েছিলেন, নড্ডার সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে। দিলীপবাবুর নিজের ভাষায় ‘প্রেসিডেন্ট টু প্রেসিডেন্ট’ বৈঠক। তার পরেও সারা দিনে তিনি ডাক না পাওয়ায় বিজেপির অন্দরে নানা কথা শুরু হয়ে গিয়েছে। যেখানে শুভেন্দু অধিকারী দিল্লি এসে একের পর এক শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন, সেখানে দলের রাজ্য সভাপতির এমন হাল নিয়ে জল্পনা বেড়েছে। দিলীপের অবশ্য বক্তব্য, সকালে দলের ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ শিবির ছিল। তাই সকালে বৈঠক হয়নি। তার পরে নড্ডা একের পর এক বৈঠকে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সূত্রের খবর, সোমবার তাঁদের কথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজ্য সভাপতি পদে দিলীপ ঘোষের নিজের মেয়াদ ২০২২-এর শেষ পর্যন্ত। বিধানসভা ভোটের পরে সাংগঠনিক রদবদল করে রাজ্য সভাপতি, পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত নেতা পদে বদল হতে পারে বলেও বিজেপির অন্দরমহলে জল্পনা চলছে। আজ দিল্লিতে বসে দিলীপের মন্তব্য, ‘‘নড্ডাজি কী জানতে চাইবেন, দেখা যাক।’’ যাঁরা দলে থেকেও দলবিরোধী কথা বলেছেন, তাঁদের সম্পর্কে কি নড্ডাকে জানাবেন? দিলীপের মন্তব্য, ‘‘নড্ডাজি সবই জানেন। যা জানতে চাইবেন, জানাব।’’ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, গাছের ছালবাকল শুকিয়ে গেলে বা গাছের সঙ্গে মিশে থাকতে না পারলে, তা ঝরে যায়। সেটা যারা ঝরে পড়ছে, তাদের সমস্যা।’’ বিধানসভা ভোটে হারের পরে এই প্রথম সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে রাজ্য সভাপতির বৈঠক হওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy