দীপাবলির সকালেই ‘ভয়ানক খারাপ’ পর্যায়ে নেমে গেল দিল্লির বাতাসের গুণমান। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ড (সিপিসিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকালে রাজধানীর বাতাসের গুণমান (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই) গড়ে ৩৩৫ রেকর্ড করা হয়েছে। দিল্লির ৩৮টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে বেশির ভাগেরই একিউআই ৩০০-র উপরে রয়েছে। কোথাও কোথাও ৪০০-র বিপদসীমাও পেরিয়েছে বাতাসের ‘বিষ’।
রবিবার রাতভর বাজি-রাজ চলেছে রাজধানীতে। তার জেরেই দিল্লি জুড়ে একিউআই ‘ভয়ানক খারাপ’ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। সোমবার সকালে আনন্দ বিহারের একিউআই ছিল ৪১৪। ওয়াজ়িরপুরেও বাতাসের গুণমান সূচক ৪০৭ ছুঁয়েছে। শুধু তা-ই নয়, গ্রেটার নয়ডা, গাজ়িয়াবাদ-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতেও একিউআই ৩০০-র বেশি।
আরও পড়ুন:
বাতাসের গুণমান সূচক বা একিউআই শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে হলে তা ‘ভাল’ বলে ধরে নেওয়া হয়। গুণমান সূচক ৫১ থেকে ১০০ হলে তা ‘সন্তোষজনক’ বলে ধরা হয়। একিউআই ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচিত হয়। আর গুণমান সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০ হলে ‘খুব খারাপ’, ৪০১ থেকে ৪৫০ ‘ভয়ানক’ এবং ৪৫০-এর বেশি হলে ‘অতি ভয়ানক’ ধরা হয়।
তবে দীপাবলির আগেই একিউআই ৪০০-র গণ্ডি ছাড়িয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে। এখনই যে ভাবে ধোঁয়ার চাদরে ঢাকতে শুরু করেছে রাজধানীর আকাশ, তাতে দীপাবলির পর কী হবে, তা ভেবে মাথায় হাত পড়েছে প্রশাসনের। দূষণ ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে। শব্দবাজি, আতশবাজি বিক্রি, মজুত এবং বানানোর উপরেও আরোপ করা হয়েছে নানা বিধিনিষেধ। তবে শর্তসাপেক্ষে সবুজ আতশবাজি তৈরি এবং বিক্রিতে এ বছর কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দিল্লিতে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত সকাল ৬টা থেকে ৭টা এবং রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সবুজ বাজি পোড়ানো যাবে।