কেজরীওয়ালের জামিনের আবেদন নিয়ে এ বার দিল্লি হাই কোর্টের নোটিস, মত জানাতে বলল সিবিআইকে

আবগারি দুর্নীতি মামলায় ধৃত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের জামিনের আবেদন নিয়ে এ বার কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআইয়ের মতামত চাইল দিল্লি হাই কোর্ট।

দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় আপ প্রধান কেজরীকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। বর্তমানে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআইও। গত ২৬ জুন এই মামলাতেই দিল্লির তিহাড় জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সে কারণেই জামিন নিয়ে সিবিআইয়ের মত চেয়েছে হাই কোর্ট।

কেজরীর তরফে তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি দিল্লি হাই কোর্টে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। প্রাথমিক ভাবে হাই কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে বিষয়টি বিবেচনার জন্য নিম্ন আদালতে ফেরত পাঠানোর কথা বললেও পরবর্তী সময়ে সিবিআইয়ের মত চেয়ে নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২৯ জুন) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আবেদন মঞ্জুর করে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত কেজরীকে ১২ জুলাই পর্যন্ত তিহাড় জেলে পাঠিয়েছে। হেফাজতের মেয়াদ শেষ হলে ওই দিন দুপুর ২টো নাগাদ জেল থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আবার কেজরীকে আদালতে হাজির করানো হবে। রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পৃথক আর্জিও জানিয়েছেন কেজরীওয়াল। পাশাপাশি জামিনের জন্য নতুন করে আবেদন জানিয়েছেন দিল্লি হাই কোর্টে।

গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরীকে গ্রেফতার করে ইডি। তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি। ফলে দেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যাঁকে পদে থাকাকালীন গ্রেফতার করা হয়। এর পর লোকসভা ভোটের সময়ে তাঁকে কিছু দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার মেয়াদ শেষ হলে ২ জুন আবার তিহাড় জেলে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন কেজরী। গত সপ্তাহে দিল্লির আদালত কেজরীর জামিন মঞ্জুর করেছিল। তার বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন করে ইডি। সেখানে জামিন স্থগিত হয়ে যায়। পরে নতুন করে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই।