পরকীয়া কোনও অপরাধ নয়। কিন্তু সমাজে তার কিছু অভিঘাত রয়েছে। তৃতীয় কারও জন্য সংসার ভাঙলে, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে। চাওয়া যাবে ক্ষতিপূরণও। একটি মামলার শুনানিতে এ কথা বলল দিল্লি হাই কোর্ট।
হাই কোর্টের বিচারপতি পুরুষেন্দ্রকুমার কৌরব বলেন, ‘‘বিয়েকে মানুষ পবিত্র বন্ধন হিসাবে দেখেন। এর থেকে কিছু প্রত্যাশাও থাকে। যদি স্বামী বা স্ত্রী মনে করেন যে, তৃতীয় কোনও ব্যক্তির জন্য তাঁদের সংসার ভাঙছে, তা হলে সেই ব্যক্তির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করা যাবে। এ ধরনের আচরণে অবশ্যই ফৌজদারি শাস্তি হতে পারে না। কিন্তু এটা দেওয়ানি সংক্রান্ত বিষয়।’’
এক মহিলার কারণে তাঁর সংসার ভাঙতে চলেছে, এই অভিযোগ তুলে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আর এক মহিলা। আদালতে তিনি জানিয়েছেন, ২০১২ সালে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। কিন্তু সমস্যা শুরু হয় ২০২১ সালে। ওই সময়ে তাঁর স্বামীর ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন অভিযুক্ত মহিলা। ধীরে ধীরে দু’জনের সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়। পারিবারিক বাধা সত্ত্বেও তা থামেনি। এ বার তাঁর স্বামী বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছেন। এই পরিস্থিতি সংসার বাঁচাতেই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারিণী।
অভিযুক্ত মহিলার আইনজীবী হাই কোর্টে এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, যে হেতু এটি বিবাহ সংক্রান্ত, তাই কোনও পারিবারিক আদালতে বিষয়টি শোনা যেতে পারে।
কিন্তু হাই কোর্টের মত, কারও প্রতি কারও আবেগ বা টান কমে যাওয়া (এলিয়েনেশন অফ অ্যাফেকশন)-কে ভারতীয় আইন মান্যতা না দিলেও, বিষয়টিকে এ ভাবে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ফলে এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের মামলার শুনানি দেওয়ানি আদালতে হবে।