এখনই ঝড় এবং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি থেকে নিস্তার পাচ্ছে না রাজধানী দিল্লি। অন্তত তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছে মৌসম ভবন। এই পরিস্থিতি আগামী কয়েক দিন বজায় থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে জারি করা হয়েছে সতর্কতাও। গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টিতে ভাসছে দেশের দক্ষিণ এবং পশ্চিমের একাধিক রাজ্য। ভাসছে রাজধানী দিল্লিও। গত সপ্তাহেই ধুলোঝড়ে বিপর্যস্ত দিল্লিতে এ বার বৃষ্টির তাণ্ডব শুরু হয়েছে।
তবে স্বস্তির খবর যে, বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে দিল্লির। গত বছরেই ২৬ থেকে ৩১ মে-র মধ্যে পর পর ছ’টি তাপপ্রবাহের সাক্ষী থেকেছে দিল্লি। কিন্তু এ বার বর্ষা এগিয়ে আসায় সে ভাবে তীব্র গরমের আঁচ লাগেনি রাজধানীতে। তাপপ্রবাহ তো নয়-ই। গত বছর এই সময়ে দিল্লির তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এ বার ৪০ ডিগ্রি ছুঁলেও তা ছিল ক্ষণস্থায়ী। মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি এবং ঝড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোমবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে যা ৫ ডিগ্রি কম।
মৌসম ভবন জানাচ্ছে, আগামী দিনে তাপমাত্রা খুব একটা বেশি বাড়বে না। বরং আগামী কয়েক দিন বৃষ্টি এবং ঝড়ের তাণ্ডব চলবে দিল্লিতে। ৩০ এবং ৩১ মে-তে ঝড় এবং বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে। ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। গত সপ্তাহের শেষে দিকে ভারী বৃষ্টি হয় দিল্লিতে। ফলে জলমগ্ন হয়ে পড়ে বেশ কিছু এলাকা। মৌসম ভবন সে সময় জানিয়েছিল, আগামী দিনেও এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে। মে-র শেষ পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি জারি থাকার কথা। ৩০ মে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং ৩০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে রাজধানীতে। ৩১ মে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। মে মাসে এখনও পর্যন্ত ১৮৬.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এ মাসে পাঁচটি ঝড় হয়েছে দিল্লিতে। গত ২ মে প্রথম ঝড় হয়। সে সময় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। তার পর ১৭ মে। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার। ১৫ মে ধুলোঝড় হয়। ঘণ্টায় গতিবেগ ছিল ৪০-৫০ কিলোমিটার। ২১ মে ঘণ্টায় ৭৯ কিলোমিটার বেগে ঝড় হয়। সেই সময় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ১২ মিলিমিটার। গত ২৫ মে আরও একটি ঝড় হয়েছে দিল্লিতে। সেই সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮২ কিলোমিটার।