Advertisement
E-Paper

স্বামীকে খুন করিয়ে পাতেন নতুন সংসার! দরদাম করে ৫০,০০০ টাকা দেন ‘ভাড়াটে খুনি’কে, প্রেমিকের একটি ভুলই ধরিয়ে দিল মহিলাকে

অভিযুক্ত সোনিয়ার দাবি, তাঁর স্বামী প্রীতম বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে যুক্ত ছিলেন। মাদকাসক্তও ছিলেন। স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সেই সময়েই ২০২৩ সালে রোহিত নামে এক ক্যাবচালকের সঙ্গে আলাপ হয় সোনিয়ার। রোহিতও আগে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৫ ১৬:৫১
(বাঁ দিকে) প্রীতম প্রকাশ এবং তাঁর স্ত্রী সোনিয়া (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) প্রীতম প্রকাশ এবং তাঁর স্ত্রী সোনিয়া (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

স্বামী মাদকাসক্ত ছিলেন। বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত ছিলেন। স্ত্রী তাতে বাধা দিতে চেষ্টা করলে তাঁকেও মারধর করা হত বলে অভিযোগ। এই সবের থেকে ‘নিস্তার’ পেতে নিজের স্বামীকেই হত্যা করতে ‘ভাড়াটে খুনি’ ব্যবহার করেন মহিলা। তার পর অন্য এক জনের সঙ্গে সংসারও পাতেন। কিন্তু একটি ভুলই ধরিয়ে দিল মহিলাকে।

অভিযুক্ত সোনিয়ার তিন সন্তান রয়েছে। প্রীতমের সঙ্গে বিয়ের পর থেকে দিল্লির আলিপুর এলাকাতেই থাকছিলেন তাঁরা। কিন্তু অভিযুক্ত সোনিয়ার দাবি, স্বামী প্রীতমের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সেই সময়েই ২০২৩ সালে রোহিত নামে এক ক্যাবচালকের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। রোহিতও আগে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রোহিতের সঙ্গে ক্রমে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায় সোনিয়ার এবং দু’জনে মিলে নতুন সংসার পাতার সিদ্ধান্ত নেন।

গত বছরের জুলাইয়ে প্রীতমের সঙ্গে অশান্তি করে হরিয়ানায় নিজের বোনের বাড়িতে চলে যান সোনিয়া। রোহিতই তাঁকে সোনিপতে ছেড়ে দিয়ে আসেন। যাওয়ার পথেই প্রীতমকে হত্যার ছক কষেন দু’জনে। রাহুল জানান, তিনি নিজে খুন করতে পারবেন না। তবে ছ’লক্ষ টাকার ব্যবস্থা করা গেলে ‘ভাড়াটে খুনি’ পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু সোনিয়ার কাছে তখন সেই টাকা ছিল না। ফলে আলোচনা তখনকার মতো ওখানেই থেমে যায়।

পরে প্রীতমকে খুনের জন্য সোনিয়া নিজের তাঁর বোনের দেওর বিজয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, বিজয় ওই সময় ১ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকাতেই রফা হয়ে যায় বিষয়টি। শেষে গত বছরের ৫ জুলাই হরিয়ানার সোনিপতেই খুন হন সোনিয়ার স্বামী। প্রীতমকে খুনের পরে বিজয় তাঁর দেহ একটি কাপড়ে মুড়িয়ে নিকাশি নালার মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে দেহ শনাক্ত না হওয়ায় ঘটনাটি ধামাচাপা পড়ে যায়। ওই সময় প্রীতমের মোবাইল ফোনটি নিজের প্রেমিক রোহিতের কাছে দিয়েছিলেন সোনিয়া। বলেছিলেন, সেটি নষ্ট করে ফেলার জন্য। কিন্তু সোনিয়ার কথা না শুনে মোবাইলটি নিজের কাছেই রেখে দিয়েছিলেন রোহিত। আর এই ভুলই ধরিয়ে দিল অভিযুক্তদের।

এলাকার এক দুষ্কৃতী আচমকা উধাও হয়ে যাওয়ায় দিল্লি পুলিশ এ বিষয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করে। প্রাথমিক ভাবে কোনও তথ্য না পাওয়ায় তাঁর মোবাইল নম্বর ‘ট্র্যাক’ করতে শুরু করে পুলিশ। সেই সূত্র ধরেই রোহিতকে পাকড়াও করে পুলিশ। প্রথমে তিনি দাবি করেন, মোবাইলটি এক জনের থেকে কিনেছেন। কিন্তু পরে পুলিশ চেপে ধরতেই ঘটনার কথা স্বীকার করে নেন রোহিত। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সোনিয়াকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

Delhi Police Crime Murder Case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy