দিল্লির পার্শ্ববর্তী তিন রাজ্যে হানা দিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশে হানা দেন তদন্তকারীরা। ওই অভিযানেই পাকড়াও করা হয় তিন সন্দেহভাজনকে। এই তিন জনকেই পাকিস্তান থেকে মদত জোগানো হচ্ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। ধৃতেরা পাকিস্তানের মদতে গ্যাংস্টার থেকে সন্ত্রাসী হয়ে উঠেছিল বলে দাবি করা হচ্ছে।
গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের তিনটি পৃথক দল তিন রাজ্যে হানা দেয়। ওই অভিযানে পঞ্জাব থেকে পাকড়াও করা হয় হরগুণপ্রীত সিংহকে। মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয় বিকাশ প্রজাপতিকে। উত্তরপ্রদেশের বিজনৌর থেকে ধরা পড়েন আরিফ। এই তিন জনের সঙ্গে পাকিস্তানের কার যোগাযোগ ছিল, তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তবে বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, সন্ত্রাসবাদী সন্দেহে এই তিন ধৃতের সঙ্গে পাকিস্তানের গ্যাংস্টার শাহজ়াদ ভাট্টির যোগাযোগ ছিল। যদিও দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের তরফে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
শুক্রবারই গ্যাংস্টার আনমোল বিশ্নোই আদালতে দাবি করেন, এই শাহজ়াদ তাঁকে খুনের হুমকি দিয়েছেন। তাঁর প্রাণ সংশয় রয়েছে বলেও আদালতে জানান আনমোল। তাঁর আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, পাকিস্তানের গ্যাংস্টার শাহজ়াদ ভাট্টি আনমোলকে খুনের হুমকি দিয়েছেন। তাই তাঁর প্রাণ সংশয় রয়েছে। তার পরেই ২০০৮ সালের এনআইএ আইনের ১২ নম্বর ধারা মেনে পটিয়ালা হাউস কোর্টের বদলে এনআইএ-র সদর দফতরে শুনানি করে বিচারক প্রশান্ত শর্মা।
আরও পড়ুন:
চলতি বছরের শুরুতে জলন্ধরে এক ইউটিউবারের বাড়ির সামনে বোমা ছোড়া হয়। তাতে কেউ হতাহত হননি। সেই হামলার দায় নিয়েছিলেন পাকিস্তানের গ্যাংস্টার শাহজ়াদ। সেই বিষয়টিকে আদালতে তুলে ধরেন আনমোলের আইনজীবী। তিনি সওয়াল করে জানান, জলন্ধরে শাহজ়াদ ওই কাণ্ড ঘটাতে পারলে এখন আনমোলকে খুনের যে হুমকি দিয়েছেন, তা বাস্তবায়িত করতে পারেন। এতে তিনি স্থানীয় গুণ্ডাদের সাহায্য নিতে পারেন। ওই ঘটনার পরই এ বার সন্ত্রাসবাদী সন্দেহে তিন জনকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। যদিও আনমোলকে হুমকির সঙ্গে এই গ্রেফতারগুলির কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।