ছত্তীসগঢ়ে আত্মসমর্পণ করলেন আরও ৩৭ জন মাওবাদী। দন্তেওয়াড়া জেলায় সিআরপিএফ এবং পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা। তাঁদের সকলের মিলিত ভাবে মাথার দাম ছিল ৬৫ লক্ষ টাকা। আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে ১২ জন মহিলাও রয়েছেন।
রবিবার দন্তেওয়া়ড়ার পুলিশ সুপার গৌরব রাই জানান, আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে ২৭ জনের মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মধ্যে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য নাম রয়েছে যেমন, কুমালি ওরফি অনিতা মাণ্ডবী, গীতা ওরফে লক্ষ্মী মড়কম, রঞ্জন ওরফে সোমা মাণ্ডবী এবং ভীম ওরফে জাহাজ কালমু। এই চার জনের প্রত্যেকের মাথার দাম ছিল ৮ লক্ষ টাকা করে। পুলিশ সুপার জানান, আত্মসমর্পণকারীদের মাওবাদীদের সরকারি পুনর্বাসন প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হবে।
আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদ নির্মূল করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সময়সীমার কথা সম্প্রতি বিভিন্ন সভায় স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছত্তীসগঢ়-সহ অন্য মাওবাদী প্রভাবিত রাজ্যগুলিতে ধারাবাহিক অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনী। সম্প্রতি মাওবাদীদের বেশ কয়েক জন শীর্ষ নেতার মৃত্যুর পরে আত্মসমর্পণের হিড়িকও বৃদ্ধি পেয়েছে এই প্রভাবিত অঞ্চলগুলিতে।
আরও পড়ুন:
সাম্প্রতিক সময়ে ছত্তীসগঢ়েও বহু মাওবাদীকে আত্মসমর্পণ করতে দেখা গিয়েছে। ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই গত মার্চে ‘নকশাল আত্মসমর্পণ এবং আক্রান্তদের পুনর্বাসন নীতি ২০২৫’ ঘোষণা করেছিলেন। আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের পুনর্বাসন, চাকরি, আর্থিক সহায়তা এবং আইনি সুরক্ষা প্রদান করার মতো নানা বিষয় রয়েছে ওই প্রকল্পে। পাশাপাশি রয়েছে, মাওবাদীদের সমাজের মূলস্রোতে ফেরাতে বস্তার পুলিশ রেঞ্জের ‘পুনা মারঘাম’ (সামাজিক পুনঃএকত্রীকরণ অভিযান)।
সরকারি হিসাবে গত ২০ মাসে শুধু দন্তেওয়াড়া জেলাতেই ৫০০-র বেশি মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে ১৬৫ জনের মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল। গত ২৩ মাসে গোটা ছত্তীসগঢ় মিলিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন ২২০০-র বেশি মাওবাদী। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জন শীর্ষস্তরের নেতাও রয়েছেন।