গৃহকর্ত্রী ধমক দিয়েছিলেন। আর তার জেরেই তাঁকে এবং তাঁর পুত্রকে খুনের অভিযোগ উঠল পরিচারকের বিরুদ্ধে। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির লাজপতনগরে। মৃতেরা হলেন নাম রুচিকা সেওয়ানি এবং তাঁর পুত্র কৃষ।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বাড়িতে ফেরেন রুচির স্বামী কুলদীপ। ডাকাডাকি করার পরেও রুচি দরজা না খোলায় তাঁর সন্দেহ হয়। ছেলে কৃষকেও ডাকাডাকি করেন। তারও কোনও সাড়া পাচ্ছিলেন না। তখন তিনি দেখেন দরজার সামনে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীদের ডাকেন কুলদীপ। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই রুচির দেহ মেঝেয় পড়ে থাকতে দেখে। রক্তে তাঁর পোশাক ভেজা। মাথা রক্তাক্ত।
আরও পড়ুন:
তার পর বাথরুমে পড়ে থাকতে দেখা যায় কৃষের দেহ। তাঁর শরীরেও একাধিক আঘাত ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, দশম শ্রেণিতে পড়ত কৃষ। রুচিকাদের পোশাকের দোকান রয়েছন লাজপতনগরে। স্বামী-স্ত্রী মিলে সেই দোকান চালান। তাঁদের বাড়িতে পরিচারক এবং গাড়িচালকের কাজ করতেন বিহারের বাসিন্দা মুকেশ। এই ঘটনার পর তিনি শহর ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তার আগেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, রুচিকা তাঁর উপর চিৎকার করেছিলেন। তাঁকে মেজাজ দেখিয়েছিলেন। তাই রাগের বশে রুচিকা এবং তাঁর ছেলে কৃষকে খুন করেছেন মুকেশ। তবে শুধু কি ধমকের জন্য খুন, না কি নেপথ্যে অন্য রহস্য আছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।