কর্নাটকে ‘ভোটচুরি’র চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তা নিয়ে বিতর্কের মধ্যে নিজেদের পোর্টালে নতুন ‘ই-স্বাক্ষর’ ব্যবস্থা চালু করল নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, এই ব্যবস্থায় একমাত্র আধার কার্ডের মাধ্যমেই ভোটার তালিকায় নাম তোলা বা নাম বাদ দেওয়া কিংবা তথ্য সংশোধন করা যাবে।
এত দিন ভোটার তালিকায় নাম তোলা (ফর্ম ৬), নাম বাদ দেওয়া (ফর্ম ৭) বা তথ্য সংশোধনের (ফর্ম ৮) জন্য ফর্ম ফিল-আপের সময় ভোটারের এপিক নম্বর দিলেই হত। তার জন্য আলাদা করে কোনও তথ্য যাচাই হত না। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে চালু হওয়া নয়া ব্যবস্থায় তিনটি ফর্ম ফিল-আপের সময়েই আধার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নম্বর দিয়ে তথ্য যাচাই করা হবে। দেখা হবে, যাঁর নাম বাদ যাবে, তিনি নিজেই আবেদন করছেন, না কি অন্য কেউ?
আরও পড়ুন:
কী করতে হবে আবেদনকারীকে?
আবেদনকারীকে প্রথমে ফর্ম ফিল আপ করতে হবে। এর পর ফর্ম জমা দিতে গেলেই একটি ‘ই-স্বাক্ষর’ পোর্টাল খুলবে। সেখানে আবেদনকারীকে নিজের আধার নম্বর দিতে হবে। তাতে ওই আধার নম্বরের সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) যাবে। সেই ওটিপি দিলে তবেই যাচাই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে এবং আবেদনকারীর আবেদন সঠিক ভাবে জমা পড়বে।
কয়েক দিন আগেই রাহুল অভিযোগ তুলেছিলেন, কর্নাটকে গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি আলন্দে ভোটচুরির চেষ্টা হয়েছিল। ছ’হাজারের বেশি ভোটারের নাম বাতিলের আবেদন জমা পড়েছিল। সেই অভিযোগ পরে স্বীকারও করে নেয় কমিশন। ভোটার তালিকা থেকে নাম বাতিলের জন্য মোট ৬,০১৮টি আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে মাত্র ২৪টি সঠিক আবেদন ছিল। ঘটনাচক্রে, তার পরেই নয়া ব্যবস্থা চালু করল কমিশন।