Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Farooq Abdullah

জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে ৪৩ কোটির দুর্নীতি! ইডির জেরার মুখে ফারুক

কেন্দ্র তথা বিজেপির বিরুদ্ধে‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’র অভিযোগ তুলে সরব ফারুকের দল ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)।

জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন দুর্নীতি মামলায় ফারুক আবদুল্লাকে জেরা ইডির। ছবি: এএপপি

জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন দুর্নীতি মামলায় ফারুক আবদুল্লাকে জেরা ইডির। ছবি: এএপপি

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৩৫
Share: Save:

জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন দুর্নীতি মামলায় ফের ফারুক আবদুল্লাকে জেরা করল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)। অ্যাসোসিয়েশনের ৪৩ হাজার কোটিরও বেশি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। তার ভিত্তিতেই আজ, সোমবার জ্ম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুককে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে ইডি। কেন্দ্র তথা বিজেপির বিরুদ্ধে‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’র অভিযোগ তুলে সরব ফারুকের দল ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)।

২০০২ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের ৪৩.৬৯ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করে সিবিআই। তদন্তের সূত্রে জানা যায়, ২০০২ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে উপত্যকার ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য কয়েক দফায় মোট ৪৩.৬৯ কোটি টাকা দিয়েছিল বিসিসিআই। সেই টাকা খরচে অসঙ্গতির অভিযোগে এনসি সাংসদ ফারুক-সহ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন ৩ আধিকারিক মির মনজুর গজনফার আলি, বশির আহমেদ মিসগর এবং গুলজার আহমেদ বেগের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই।

গত বছরের ৫ অগস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়েছিল কেন্দ্র। সিবিআই-এর ওই চার্জশিটের সূত্র ধরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের আগেই এক বার ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল এনসি সাংসদ ফারুককে। সোমবার ফের ইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করল। যদিও ফারুক নিজে বা ইডির পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

আরও পড়ুন: শীতের লাদাখে চিনের মোকাবিলায় মার্কিন সরঞ্জাম ভরসা সেনার

তবে অশীতিপর ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে কেন্দ্র তথা বিজেপির বিরুদ্ধে সরব এনসি। গত বছর ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের আগের দিন ৪ অগস্ট শ্রীনগরের গুফকর রোডে আবদুল্লার বাড়িতে বিজেপি বাদে জম্মু-কাশ্মীরের প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীরা একটি বৈঠক করেন। ওই বৈঠকেই ‘গুপকর জোট’-এ সই করেন ওই নেতানেত্রীরা। কিন্তু তার পরেই ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করে কেন্দ্র এবং উপত্যকার অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতানেত্রীকে আটক করা হয়। ধাপে ধাপে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কয়েক দিন আগেই মুক্তি পেয়েছেন জম্মু কাশ্মীরের আর এক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। মুক্তির পরেই তাঁরা ফের একজোট হয়ে ‘পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকর ডিক্লেয়ারেশন’ গঠন করেছেন। গত বছরের ৫ অগস্টের আগে উপত্যকার নাগরিকদের যে অধিকার ছিল, তা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে তাঁরা এক ছাতার তলায় এসেছেন।

আরও পড়ুন: পিকে-র নিদান, ম্যাডামের নির্দেশ, চেনা ‘কেষ্ট’ এখন পরিবর্তনে অচেনা

এনসি নেতাদের বক্তব্য, ‘‘গুপকর ঘোষণার পরেই চিঠি পাঠিয়েছে ইডি। জম্মু-কাশ্মীরে জনসাধারণের জোট গঠনের পর এটা পরিষ্কার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।’’ দলের পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়েছে, ‘আমরা জানতাম এমন কিছু আসতে চলেছে। নতুন এই জোটের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে লড়াই করতে পারছে না বলেই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি’।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Farooq Abdullah ED CBI
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE