শিবকুমারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে ডেকে পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ফাইল চিত্র।
রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা এখন রয়েছে কেরলে। ১ অক্টোবর ওই পদযাত্রার কর্নাটকে ঢোকার কথা। ঠিক তার আগে কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে ডেকে পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
কর্নাটকে এখন বিধানসভার অধিবেশন চলছে। তার মাঝপথেই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার তলব পেলেন শিবকুমার। আজ টুইটারে সেই কথা উল্লেখ করেই শিবকুমার লেখেন, ‘‘ভারত জোড়ো যাত্রা এবং বিধানসভার অধিবেশনের মধ্যেই আবার হাজিরার জন্য আমাকে সমন পাঠাল ইডি। আমি সহযোগিতা করতে তৈরি। কিন্তু এমন একটা সময়ে সমন পাঠিয়ে আমায় যে ভোগান্তিতে ফেলা হচ্ছে, তা আমার সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক কর্তব্য পালনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’’
২০১৮ সালে শিবকুমার এবং অন্য কয়েক জনের বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয়ের একটি মামলা দায়ের করেছিল ইডি। চার্জশিটে শিবকুমারের পাশাপাশি দিল্লির কর্নাটক ভবনের এক কর্মীরও নাম রয়েছে। তারও আগে আয়কর দফতর শিবকুমার এবং অন্যদের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়া এবং হাওয়ালা লেনদেনের অভিযোগে বেঙ্গালুরুর একটি আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছিল। এর ভিত্তিতেই টাকা নয়ছয়ের মামলাটি করে ইডি।
কর্নাটকের বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়ার অভিযোগ, রাজ্যের মন্ত্রীদের দুর্নীতি দেখেও চোখ বুজে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। এর আগে কর্নাটকের ঠিকাদারদের সংগঠন অভিযোগ তুলেছিল, তাদের প্রতিটি প্রকল্পের জন্য শাসক দলের মন্ত্রী-বিধায়কদের ৪০ শতাংশ ঘুষ দিতে হচ্ছে। রাহুলও এ নিয়ে সরব হয়ে কর্নাটকের বিজেপি সরকারকে ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার’ বলেছিলেন।
এই সপ্তাহেই ‘৪০ পার্সেন্ট সরকার, বিজেপির ভ্রষ্টাচার’ স্লোগান দিয়ে কর্নাটকে কংগ্রেস মিছিল করেছে। তার পরেই তলব শিবকুমারকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy