পঞ্জাবের একটি ও জম্মু-কাশ্মীরের চারটি রাজ্যসভা আসনে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। ২৪ অক্টোবর ওই পাঁচটি আসনে ভোট হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কমিশন।
পঞ্জাবের রাজ্যসভা আসনটি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সঞ্জীব অরোরা। অন্য দিকে জম্মু-কাশ্মীরে মির মহম্মদ ফয়াজ়, শামশের সিংহ, গুলাম নবি আজ়াদ ও নাজ়ির আহমেদ লাওয়ের মেয়াদ শেষ হয়েছে।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনের অধীনে সাবেক জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য ভাগ হয়েছিল। ওই আইন অনুযায়ী, বিধানসভা-সহ জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও বিধানসভাহীন লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠিত হয়েছে। তখন রাজ্যসভায় নির্বাচিত চার সাংসদ জম্মু-কাশ্মীরের চারটি আসন দখল করে রয়েছেন বলে ওই আইনে ধরে নেওয়া হয়েছিল। তাঁদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু বিধানসভা গঠিত না হওয়ায় রাজ্যসভার নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় ভোটার পাওয়া যাচ্ছিল না। জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা গঠিত হওয়ার পরে সেই ভোটার পাওয়া গিয়েছে।
কাশ্মীরের রাজনীতিকদের একাংশের মতে, বর্তমানে বিধানসভায় বিভিন্ন দলের শক্তির হিসাব করলে রাজ্যসভার তিনটি আসনে লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স-কংগ্রেস জোট। অন্য আসনটিতে এগিয়ে বিজেপি।বর্তমানে বিধানসভায় ৮৮ জন সদস্য সক্রিয়। বদগাম ও নাগরোটা কেন্দ্র আপাতত শূন্য রয়েছে। অন্য দিকে আপ বিধায়ক মেহরাজ মালিককে জন সুরক্ষা আইনে আটক করা হয়েছে। তবে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী তাঁর ভোটদানের অধিকার রয়েছে। তিনি সম্প্রতি শাসক জোটের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারও করে নেন।
মেহরাজকে বাদ দিলে ন্যাশনাল কনফারেন্স, কংগ্রেস, সিপিএম ও নির্দল বিধায়কদের জোটের মোট সদস্য সংখ্যা ৫৩। অন্য দিকে বিজেপির ২৮ জন সদস্য রয়েছেন। পিডিপি-র ৩ জন, পিপলস কনফারেন্সের ১ জন ও ৩ জন নির্দল বিধায়ক মিলে অ-বিজেপি বিরোধী জোট গড়েছেন। তাঁদের একাংশ শাসক জোটের সঙ্গে রয়েছেন। অন্যেরা কখনও কখনও বিজেপিকে সমর্থন করেন।
ন্যাশনাল কনফারেন্স সূত্রের খবর, ফারুক আবদুল্লা ও সাজাদ কিচলুকে রাজ্যসভায় পাঠানোর কথা ভাবতে পারে দল। একটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার সুযোগ পেতে পারে কংগ্রেস। সে ক্ষেত্রে তারা জম্মু বা দক্ষিণ কাশ্মীরের কোনও বিধায়ককে প্রার্থী করতে পারে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)