শীঘ্রই এ দেশের বাজারে পা রাখতে চলেছে বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের তথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ঘনিষ্ঠ’ ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের স্টারলিঙ্ক। সেই আবহেই এ বার জানা গেল, ভারতে কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন পেতে গেলে এককালীন ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা দিতে হবে স্টারলিঙ্ককে। তা ফেরতযোগ্যও নয়।
আরও পড়ুন:
বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মাস্কের সংস্থা চলতি মাসের মাঝামাঝি এই লাইসেন্স পেতে পারে। আর সেই লাইসেন্স পেতে গেলে দিতে হবে প্রায় ১.৬ কোটি টাকা। সূত্রের খবর, এর মধ্যে দায়বদ্ধতা এবং জাতীয় নিরাপত্তার আইনি প্রক্রিয়াগুলির জন্য ১.২০ কোটি টাকা দিতে হবে। বাকি টাকাও মিটিয়ে দিতে হবে চলতি মাসের মধ্যেই। তা ছাড়া, চুক্তি অনুযায়ী, সমস্ত নিয়ম মেনে না চললে সরাসরি ব্যাঙ্ক থেকে ‘গ্যারান্টি’ বাবদ টাকা তুলে নেবে সরকার। শুধু তা-ই নয়, স্টারলিঙ্কের দেওয়া কোনও তথ্য মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর প্রমাণিত হলে যে কোনও সময়ে লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে ওই চুক্তিতে। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসে তৎকালীন টেলিকমমন্ত্রী এ রাজার আমলে বিভিন্ন সংস্থাকে দেওয়া ‘২জি স্পেকট্রাম লাইসেন্স’ বাতিল করে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। ওই সময় সিবিআই দাবি করেছিল যে, লাইসেন্স বরাদ্দ করার সময় সরকারি কোষাগারের ৩০,৯৮৪ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছিল। এর পর থেকেই লাইসেন্স দেওয়া নিয়ে কড়াকড়ি বেড়েছে। ফলে পরিষেবা চালু করার অনুমতি পেতে গেলে মাস্কের সংস্থাকে গুনতে হবে মোটা টাকাই।
আরও পড়ুন:
গত মে মাসের গোড়ার দিকে একটি ইচ্ছাপত্রের মাধ্যমে স্টারলিঙ্কের সঙ্গে কৃত্রিম উপগ্রহ মারফত ইন্টারনেট পরিষেবা প্রকল্পের প্রাথমিক পরিকল্পনা জমা দিয়েছিল কেন্দ্র। এর পরেই ভারতে আসেন স্টারলিঙ্কের গ্লোবাল লাইসেন্সিং সংক্রান্ত প্রধান পার্নিল উরধওয়ারেশে। দিল্লিতে কেন্দ্রের টেলিকম মন্ত্রকের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, ভারতের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় জায়গা করে নিতে শীঘ্রই পুরোদমে প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামতে চলেছে মাস্কের সংস্থা। ইতিমধ্যে ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোন পরিষেবা প্রদানকারী দু’টি সংস্থার সঙ্গে চুক্তিও সেরে ফেলেছে স্টারলিঙ্ক। সংস্থা দু’টি হল ভারতী এয়ারটেল এবং জিয়ো। ফলে মাস্কের সংস্থা এ দেশে পরিষেবা প্রদানের অনুমতি পেলে ভারতে ইন্টারনেটের গতি যে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।