ভারত-পাক সামরিক সংঘাতের আবহে স্বস্তির খবর শোনাল ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ)। বিশ্বে পারমাণবিক কার্যকলাপের নজরদারি চালানো এই সংস্থা মঙ্গলবার ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছে, পাকিস্তানের কোনও পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার থেকে তেজস্ক্রিয় বিকিরণের কোনও খবর তাদের কাছে নেই।
ভারত-পাক সীমান্তে উত্তেজনার আবহে খবর ছড়িয়েছিল যে, পাকিস্তানের কিরানা পাহাড়ে পরমাণু অস্ত্র লুকোনো আছে। আর সেখানেই হামলা চালিয়েছে ভারতের বায়ুসেনা। যদিও বায়ুসেনার তরফে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার আদৌ নিরাপদে রয়েছে কি না, তা আইএইএ-র কাছে জানতে চেয়েছিল ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’।
প্রশ্নের উত্তরে সংস্থাটির মুখপাত্র বলেন, “আমাদের কাছে যা খবর আছে, সেই অনুযায়ী বলা যায়, পাকিস্তানের কোনও পরমাণু ভাণ্ডার থেকে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হয়নি।” ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া আইএইএ কোথাও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ঘটছে কি না, সে দিকে নজর রাখার পাশাপাশি তা রুখতে বিশ্বের বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে থাকে। এই সংস্থার সদর দফতর অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায়।
ভারত এবং পাকিস্তান— দুই-ই পরমাণু শক্তিধর দেশ। তাই এই দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের। শেষমেশ অবশ্য দুই দেশই সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়। তবে ভারত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেয়, পাকিস্তানের পরমাণু-হুমকি সহ্য করা হবে না। বৃহস্পতিবার কাশ্মীরে গিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, “গোটা বিশ্বের কাছে আমার প্রশ্ন, এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং দুর্বৃত্তপরায়ণ দেশের হাতে পরমাণু অস্ত্র কি নিরাপদ?” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির নজরদারির আওতায় রাখা উচিত।”
প্রসঙ্গত, কোথাও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ঘটলে, সেই এলাকা তো বটেই, আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে।