Advertisement
E-Paper

হরিয়ানায় বধূহত্যাকাণ্ড: আমিই খুন করে মাটিতে পুঁতে দিয়েছি তনুকে! জেরায় স্বীকার শ্বশুরের, পণ না-পাওয়ার জন্যই কি হত্যা?

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রায় দু’মাস আগে তনুকে খুন করা হয়েছিল। তরুণীর শ্বশুরের দাবি, তিনিই খুন করে দেহ পুঁতে দিয়েছেন। কী ভাবে হত্যা করা হয়েছে তরুণীকে, তা-ও উঠে এসেছে পুলিশি জেরায়।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৫ ১৭:৪৯
(উপরে) তনু এবং তাঁর স্বামী অরুণ। (নীচে) রাস্তা খুঁড়ে তনুর দেহ উদ্ধার হয়েছে।

(উপরে) তনু এবং তাঁর স্বামী অরুণ। (নীচে) রাস্তা খুঁড়ে তনুর দেহ উদ্ধার হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।

হরিয়ানার ফরিদাবাদে নিহত তরুণী তনু সিংহকে তাঁর শ্বশুর ভূপ সিংহই খুন করেছেন বলে অভিযোগ! ২৪ বছর বয়সি তনুকে হত্যার পরে তিনিই দেহ পুঁতে দিয়েছিলেন মাটিতে। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় এ কথা স্বীকার করে নিয়েছেন নিহতের শ্বশুর। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রায় দু’মাস আগে তনুকে খুন করা হয়েছিল।

তনুর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের ফিরোজ়পুর জেলার শিকোহাবাদে। বছর দু’য়েক আগে হরিয়ানার ফরিদাবাদের রোশন নগর এলাকার বাসিন্দা অরুণ সিংহের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। গত দু’মাস ধরে তরুণীর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষে শুক্রবার শ্বশুরবাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হয় তনুর দেহ। শ্বশুরবাড়ি সংলগ্ন রাস্তা খুঁড়ে ১০ ফুট নীচ থেকে উদ্ধার হয় দেহটি। তদন্তে শ্বশুরবাড়ির ভূমিকা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠছিল।

স্থানীয় সূত্রের খবর, গত এপ্রিলে বাড়ির পিছনের রাস্তা খুঁড়তে দেখেছিলেন তনুর শ্বশুরকে। ওই সময় তিনি দাবি করেছিলেন, বাড়ির নিকাশি নালায় সমস্যা হয়েছে। তাই সারানো হচ্ছে। এলাকাবাসীদের থেকে এ কথা জানার পরেই পুলিশের সন্দেহ যায় শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের দিকে। সেই সন্দেহের কারণেই মাটি খোঁড়ার যন্ত্র দিয়ে ঢালাই করা রাস্তা ভেঙে প্রায় ১০ ফুট গভীর থেকে উদ্ধার হয় দেহটি।

পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় তনুর শ্বশুর স্বীকার করেছেন তিনিই খুন করে দেহটি পুঁতে দিয়েছেন। তিনি একাই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে পুলিশি জেরায় দাবি করেছেন ভূপ। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২১ এপ্রিল বেশি রাতের দিকে বাড়িতেই তনুকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিলেন ভূপ। ওই সময় তনুর স্বামী এবং শাশুড়ি বাড়িতে ছিলেন না বলেই দাবি ভূপের।

ফরিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রাজেশ কুমার জানান, শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যদের কোনও ভূমিকা রয়েছে কি না, তা বর্তমানে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্ভবত পণের কারণেই তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। যদিও অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে জেরা করা হচ্ছে অভিযুক্তদের।

শুক্রবার দেহ উদ্ধারের পরে তনুর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তনুর বোন প্রীতির দাবি, বিয়ের পরই সোনার গয়না, টাকা দাবি করতে থাকেন অরুণ এবং তাঁর বাবা-মা। প্রীতি জানিয়েছেন, যতটা সাধ্যের মধ্যে ছিল অরুণদের দাবি মেটানো হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও ক্রমাগত দাবি বাড়ছিল।

Haryana Murder Crime Dowry Death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy