সহকর্মীর হেনস্থার কারণে ওই মহিলা দন্ত্যচিকিৎসক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। প্রতীকী ছবি।
বিয়ের জন্য তাঁকে ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছিল। পাশাপাশি ধূমপান এবং মদ্যপান করাতে তাঁকে বাধ্য করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ। সহকর্মীর এই হেনস্থা সহ্য করতে না পেরে নিজেকে শেষ করে ফেললেন এক মহিলা দন্ত্য চিকিৎসক। ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর। বৃহস্পতিবার এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলা চিকিৎসকের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের লখনউতে। বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন তিনি। সুমিত নামে ওই হাসপাতালেরই তাঁর এক সহকর্মী তাঁকে হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ।
ওই দন্ত্যচিকিৎসককে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন সুমিত। পাশাপাশি তাঁকে জোর করে ধূমপান এবং মদ্যপান করানোরও অভিযোগ উঠেছে সুমিতের বিরুদ্ধে। এমনকি, মহিলা চিকিৎসকের কাছ থেকে টাকাও চেয়েছিলেন অভিযুক্ত। কিন্তু তা দিতে অস্বীকার করেন মহিলা চিকিৎসক।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই মহিলা চিকিৎসকের সম্মানহানি করতে তাঁর সম্পর্কে হাসপাতালে নানা গুজব রটানো হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে সুমিতের বিরুদ্ধে। এই সবের কারণে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন মহিলা চিকিৎসক। তার জেরেই ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে পুলিশ। গত ২৫ জানুয়ারি এই ঘটনা ঘটে। মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে কোনও পুলিশি পদক্ষেপ করা হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফেও কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy