ফাইল ছবি
স্বামী নিজেই একজন দর্জি। যিনি অর্ডার নিয়ে ব্লাউজ তৈরি করে বাড়ি বাড়ি বিক্রি করেন। কয়েকদিন আগে স্ত্রীও তাঁকে একটি ব্লাউজ তৈরি করে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু, ব্লাউজ বানিয়ে দেওয়ার পর সেই ব্লাউজের নকশা স্ত্রী-র পছন্দ হয়নি। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বাদানুবাদ হয় স্বামী-স্ত্রীর। পরে ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন স্ত্রী।
হায়দরাবাদের গোলনাকা তিরুমালানগরের অম্বরপেট এলাকার বাসিন্দা শ্রীনিবাস বাড়ি বাড়ি ঘুরে শাড়ি এবং ব্লাউজ বিক্রি করে সংসার চালান। অর্ডার নিয়ে বাড়িতেও ব্লাউজ বানাতেন। তাঁর স্ত্রী বিজয়লক্ষ্মী দু’দিন আগে তাঁকে একটি ব্লাউজ তৈরি করতে বলেন। কিন্তু, তৈরি হওয়ার পর ব্লাউজের নকশা পছন্দ হয়নি তাঁর। বিষয়টি নিয়ে স্বামীর সঙ্গে তীব্র বচসা শুরু হয় বিজয়লক্ষ্মীর। ব্লাউজটি আবার সেলাই করে দিতে বলেন তিনি। কিন্তু, শ্রীনিবাস রাজি হননি।
বচসার সময় তাঁদের দু’সন্তান ঘরে ছিল না। দু’জনেই তখন স্কুল। বচসা চলাকালীন সূচ-সুতো হাতে দিয়ে স্ত্রীকে নিজের মনের মতো নকশায় ব্লাউজ সেলাই করে নিতে বলেন। এর পরই হঠাৎ শোওয়ার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন বিজয়লক্ষ্মী।
দু’সন্তান স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে শোওয়ার ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। খবর পেয়ে বাড়িতে ছুটে আসেন শ্রীনিবাসও। অনেক ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ফেলেন তিনি। ঘরে ঢুকে দেখেন স্ত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন।
অম্বরপেট থানার পুলিশ ইনস্পেক্টর পি সুধাকর বলেন, ‘‘আগেও একাধিবার মনোমালিন্য হলে স্ত্রী ঘরে ঢুকে নিজেকে ঘরবন্দি রাখতেন। পরে আবার নিজে থেকে বেরিয়ে আসতেন। তাই, এমন কিছু স্ত্রী করবেন ভাবতে পারেননি শ্রীনিবাস।’’ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃতের আশপাশ থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy