গিলেন-বারি সিনড্রোম (জিবিএস) আক্রান্তের হদিস মিলল এ বার মুম্বইয়ে, এই প্রথম। বাণিজ্যনগরীতে স্নায়ুর এই বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪ বছরের এক বৃদ্ধা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মু্ম্বইয়ের এক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই বৃদ্ধা। জ্বর এবং ডায়রিয়া নিয়ে প্রথমে হাসপাতালে এসেছিলেন তিনি। পরে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হন।
জিবিএস আক্রান্তের হদিস সবচেয়ে বেশি মিলেছে পুণেতে। সেখানে এখন এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭৩। ইতিমধ্যে ছ’জন আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ সেখানে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৬৩ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন:
-
জরুরি সময়ে ব্যস্ত রাস্তায় নেমে এল বিমান! ধাক্কা লেগে পুড়ে ছাই বাস, ব্রাজিলে মৃত দুই
-
গাড়িতে নীল বাতি জ্বালিয়ে রক্ষী নিয়ে ঘুরতেন! চাকরি দেওয়ার নামে চন্দননগরে প্রতারণা করে ধৃত যুবক
-
করাত এনে কেউ কাটছেন রড, কেউ নিচ্ছেন ইট, ইউনূসের বার্তার পরেও লুট চলছেই মুজিবের বাড়িতে
-
গিলেন-বারি সিনড্রোমে মহারাষ্ট্রে মৃত আরও দু’জন, বিরল স্নায়ু রোগের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি পুণেতে
কী হয় এই রোগে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু জানিয়েছে, গিলেন-বারি সিনড্রোমের প্রথম উপসর্গ হল দুর্বলতা। প্রথমে পা দু’টো দুর্বল হয়ে যায়। ক্রমে হাত, মুখের পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। কিছু রোগী তার পরে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, জিবিএস আসলে একটি বিরল ‘অটোইমিউন ডিসঅর্ডার’। এই রোগে নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিজেরই স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে। পুণে পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গিলেন-বারি সিন্ড্রোমে আক্রান্তদের ডায়েরিয়া, পেটব্যথা, জ্বর, বমি ভাবের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। তাই কারও এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, এই সংক্রমণের ফলে পেশী দুর্বল হয়ে যায়। হাত-পা অসাড় হয়ে যায়। কারও কারও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। রোগীর শ্বাসযন্ত্রে বাসা বাঁধে এই ভাইরাস। তা থেকে নাক, গলা, মুখমণ্ডলে সংক্রমণ ঘটে। কারও ‘ফেশিয়াল প্যারালিসিস’ হয়, অনেকের আবার ‘রেসপিরেটরি প্যারালিসিস’ও দেখা দেয়। রোগীকে ভেন্টিলেশনে পর্যন্ত দিতে হতে পারে। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান।