Advertisement
১১ মে ২০২৪
Manipur Gunfight

আবার গোষ্ঠী-সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুর, দু’পক্ষের মধ্যে চলল গুলি, মর্টার

পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকালে কোত্রুক গ্রামে ঢুকে পড়ে একদল বন্দুকবাজ। তার পর তারা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে বাড়ি এবং গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে।

সংঘর্ষের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে নিরাপত্তাবাহিনী। ছবি: সংগৃহীত।

সংঘর্ষের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে নিরাপত্তাবাহিনী। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১১:০৬
Share: Save:

আবারও নতুন করে গোষ্ঠী-সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মণিপুর। রবিবার সকালে পশ্চিম ইম্ফলে কাংপোকপি জেলা সংলগ্ন কোত্রুক গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। গুলি চলার ঘটনাও ঘটেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকালে কোত্রুক গ্রামে ঢুকে পড়ে একদল বন্দুকবাজ। তার পর তারা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে বাড়ি এবং গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে। গ্রামের নিরাপত্তায় থাকা স্বেচ্ছাসেবীরাও পাল্টা জবাব দেন। দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কিছু ক্ষণ গুলি লড়াই চলে। এক গ্রামবাসীর দাবি, বন্দুকবাজেরা গ্রামে ঢুকেই গুলি চালাতে শুরু করে। মহিলা, শিশু এবং বয়স্কদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে দেন গ্রামের স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরা।

শুধু গুলিই নয়, গ্রামের বাড়িগুলি লক্ষ্য করে হাতে তৈরি মর্টার ‘পাম্পি’ও ছোড়া হয়। গ্রামে বন্দুকবাজদের হামলার ঘটনা নিরাপত্তাবাহিনী এবং পুলিশের কাছে পৌঁছতেই তারা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। গত বছরেও মে মাসে গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তাল হয়েছিল এই গ্রাম।

শুক্রবার ভোট মিটতেই অশান্ত হয় মণিপুর। ওই দিন গভীর রাতে বিষ্ণুপুর জেলার নারানসেনায় জঙ্গিদের হামলায় নিহত হন কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের দুই জওয়ান। গুলি এবং গ্রেনেডের আঘাতে গুরুতর জখম চার জন। পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত সওয়া ২টো নাগাদ কুকি জঙ্গিদের একটি দল স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং গ্রেনেড নিয়ে নারানসেনা ফাঁড়িতে হামলা চালায়। তাদের নিশানায় ছিল ফাঁড়ি লাগোয়া ব্যারাকটিও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Manipur Imphal Violence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE