Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Supreme Court

ঘৃণাভাষণ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্যগুলি, উষ্মা প্রকাশ করল দেশের শীর্ষ আদালত

সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চের আরও পর্যবেক্ষণ, “যখন রাজনীতিবিদরা ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহার করা বন্ধ করে দেবেন, তখন এ সব কিছুই বন্ধ হয়ে যাবে।”

Fringe elements making hate speeches on TV, state impotent Supreme Court

ঘৃণাভাষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে অস্বস্তিতে রাজ্যগুলি। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৩ ২০:৪২
Share: Save:

টিভিতে বিদ্বেষ-প্রচার বন্ধ করতে ব্যর্থ রাজ্যগুলি। একটি অবমাননা সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এমনই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার বিচারপতি কেএম জোসেফ এবং বিভি নাগরত্ন তাঁদের পর্যবেক্ষণে জানান, ঘৃণাভাষণ একটি সংক্রামক ব্যধির মতো। কিন্তু এই প্রবণতা আটকাতে যথাসময়ে পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য সরকারগুলি। বিচ্ছিন্নতাবাদী কিছু শক্তি টেলিভিশনে ঘৃণাভাষণ দিয়ে গেলেও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে না বলে উষ্মাপ্রকাশ করে শীর্ষ আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চের আরও পর্যবেক্ষণ, ‘‘যখন রাজনীতিবিদরা ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহার করা বন্ধ করে দেবেন, তখন এ সব কিছুই বন্ধ হয়ে যাবে।’’ বিচারপতি জোসেফ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা আগেই একটা রায়ে জানিয়েছিলাম, রাজনীতির সঙ্গে ধর্মকে মিশিয়ে দেওয়া গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক।’’ বিচারপতি নাগরত্ন জহরলাল নেহরু এবং অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রসঙ্গ তুলে বলেন, আমরা কোথায় যাচ্ছি? আগে নেহরু কিংবা বাজপেয়ীর বক্তব্য শুনতে গ্রাম থেকে লোকজন শহরে আসত। আর এখন বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি এমন সব মন্তব্য করছেন আর আমাদের বলতে হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Supreme Court Hate speech
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE