রাস্তার মধ্যে পড়ে রয়েছে জনতার ছোড়া পাথর। গাজিপুর। ছবি: পিটিআই।
উত্তেজিত জনতার ছোড়া পাথরের ঘায়ে বাবার মৃত্যুর পর রাজ্য পুলিশের তীব্র সমালোচনা করলেন নিহত পুলিশ কনস্টেবলের ছেলে ভি পি সিংহ। সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়ে তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ নিজেদেরই নিরাপত্তা দিতে পারে না। আমরা তাদের থেকে কী আর আশা করব? ক্ষতিপূরণ নিয়ে এখন কী করব? কিছু দিন আগেই তো বুলন্দশহরে ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল।’’
চলতি মাসে দ্বিতীয়বার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। ডিসেম্বরের একেবারে প্রথমের দিকে বুলন্দশহরে গো-হত্যার গুজবে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে গিয়ে প্রাণ হারান ইনস্পেক্টর সুবোধ কুমার সিংহ। তাঁর গায়েও প্রথমে জনতার ছোড়া পাথর এসে লাগে। তারপর তাঁরই সার্ভিস রিভলভার ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে গুলি করে খুন করে স্থানীয় এক ব্যক্তি। শনিবারও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে। মোদীর জনসভা থেকে ফেরার পথে গাড়ি থেকে নেমে উত্তেজিত জনতার অবরোধ সরাতে গিয়ে একটি পাথর এসে লাগে তাঁর মাথায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই কনস্টেবলের।
শনিবার সকালে এই ঘটনার পর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। নিহত কনস্টেবলের স্ত্রীকে ৪০ লক্ষ টাকা এবং বাবা-মাকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানান। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনেও সমালোচনায় সরব হয়েছেন নিহত কনস্টেবলের ছেলে ভিপি সিংহ। ‘‘ক্ষতিপূরণ নিয়ে কী করব আমরা’’, বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: এ বার উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর, প্রধানমন্ত্রীর সভার পরে বিক্ষোভকারীদের হাতে খুন পুলিশ
গ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা টুইট করেছেন, ‘যোগী আদিত্যনাথের জঙ্গলরাজে জনতা এবং পুলিশ কেউই সুরক্ষিত নন। আজ প্রধানমন্ত্রীর জনসভার পর জনতা কনস্টেবলকে হত্যা করেছে, এর আগে ইনস্পেক্টর সুবোধ কুমার সিংহ খুন হয়েছেন, আর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন দুর্ঘটনা। বিজেপির শাসনে ডেমোক্রেসি হল মোবোক্রেসি।’
আরও পড়ুন: ধরা পড়ল বুলন্দশহরের ইনস্পেক্টরের খুনি, কী ভাবে...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy