ফটোথেরাপির বেড থেকে পড়ে সদ্যোজাতের মৃত্যু হল অসমের বৃহত্তম সরকারি হাসপাতালে। সম্প্রতি গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে। শিশুমৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রোগীদের পরিজনেরা।
গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল অসমের রাজ্য সরকার পরিচালিত বৃহত্তম হাসপাতাল। সোমবার ভোরে সেখানে চিকিৎসাধীন এক নবজাতকের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনাটি ঘটে শিশুদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (এনআইসিইউ বা ‘নিকু’) বিভাগে। অভিযোগ, ফটোথেরাপির বেড থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় সদ্যোজাত ওই কন্যার। এর পরেই হাসপাতালের কর্মীদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলে শিশুর পরিবার।
মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রধান সুপারিনটেনডেন্ট তথা অধ্যক্ষ অচ্যুতচন্দ্র বৈশ্য জানিয়েছেন, ঘটনায় অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি তদন্তে দেখা যায় কোনও কর্মীর অবহেলার কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে, তা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার সন্ধ্যায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। কমিটিতে থাকবেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সুইটি চাংসান, মেডিক্যাল এডুকেশন বোর্ডের ডিরেক্টর অনুপ বর্মণ এবং এমস গুয়াহাটির শিশুরোগ বিভাগের প্রধান জয়া শঙ্কর কৌশিক।
আরও পড়ুন:
নিহত সদ্যোজাতের পরিবার সূত্রে খবর, গত ১৫ অগস্ট দুপুরে গুয়াহাটির ওই হাসপাতালে শিশুটির জন্ম হয়। সংক্রমণের কারণে তাকে ভর্তি করানো হয় এনআইসিইউতে। রবিবার দুপুরে ডাক্তার জানতে পারেন, শিশুটির জন্ডিস হয়েছে, সে জন্য ফটোথেরাপির প্রয়োজন। এর পর শিশুটিকে ফটোথেরাপির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ অন্য এক প্রসূতি ওই বিভাগে ঢুকে দেখেন, দু’টি সদ্যোজাত শিশু ফটোথেরাপি মেশিন থেকে মাটিতে পড়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে ডাক্তার ও নার্সরা ছুটে যান। তত ক্ষণে দুই সদ্যোজাতের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বিভাগের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।