প্রতীকী ছবি।
হোয়াটসঅ্যাপের বিতর্কিত নীতির প্রভাব এ বার কেন্দ্রের নতুন শ্রমবিধিতেও। কেন্দ্র জানিয়েছে বেতন সংক্রান্ত তথ্য কর্মীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আর হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করবে না তারা। বাদ দেওয়া হবে অন্য নেটমাধ্যমগুলিকেও। কেন্দ্র জানিয়েছে, ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ব্যাপারে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন নীতি যে উদ্বেগ তৈরি করেছে, তাকে গুরুত্ব দিয়েই এই পদক্ষেপ।
কিছুদিন আগেই দেশের চাকুরিজীবীদের বেতন সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের কথা বলেছিল কেন্দ্রীয় শ্রম ও নিয়োগ মন্ত্রক। এ ব্যাপারে একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করে মতামত জানার জন্য তারা পাবলিক ডমেনেও পাঠিয়েছিল। শ্রম মন্ত্রক এ-ও জানিয়েছিল এক মাসের মধ্যেই এই নতুন নিয়ম বাণিজ্যিক সম্পর্ক (আইআর) বিধির অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বৃহস্পতিবার এই পদক্ষেপ শুধরে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রের শ্রমসচিব অপূর্ব চন্দ্র।
কেন? পর্যবেক্ষকদের মতে, হোয়াটসঅ্যাপ বা যে কোনও নেট মাধ্যমে বেতন সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া নেওয়া হলে, তা সংস্থা ও কর্মচারীর গোপনীয়তা বজায় রাখার চুক্তি লঙ্ঘন করতে পারে। বেহাত হতে পারে কর্মী ও সংস্থার ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত গোপন তথ্যও। এই বিষয়টিই ভাবিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রককে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের আগের প্রস্তাবটির বক্তব্য ছিল, ‘বেতন-সহ কর্মীদের প্রাপ্য সবরকম অর্থ তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। বেতন সংক্রান্ত তথ্য কর্মীরা পাবেন, এসএমএস অথবা ই-মেল বা হোয়াটসঅ্যাপের মতো নেটমাধ্যম মারফৎ’। বৃহস্পতিবার শ্রমসচিব বলেন, ‘‘ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সরবরাহ নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন নীতি আশঙ্কা বাড়িয়েছে। সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। কেন্দ্র ঠিক করেছে, বেতন সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ বা কোনওরকম নেট মাধ্যম ব্যবহার করা হবে না। নতুন শ্রমবিধিতে সেই প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ বছর এপ্রিল মাস থেকেই নতুন শ্রমবিধি চালু হবে।
শ্রমসচিব বলেন, ‘‘কর্মচারীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কার বিষয়টি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। হোয়াটসঅ্যাপের নয়া নীতি সেই আশঙ্কা বাড়িয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই ওই খসড়া প্রস্তাবের যে বিষয়গুলি সংশোধন করা দরকার তা সংশোধন করা হবে। খুব শীঘ্রই খসড়া প্রস্তাবটি চূড়ান্ত হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy