অযোধ্যার রামমন্দির। —ফাইল চিত্র।
সোমবার অযোধ্যার রামমন্দিরে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হল রামলালার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই মন্দির উদ্বোধন করার পরের দিনই আমজনতার জন্য খুলে দেওয়া হল মন্দিরের প্রবেশদ্বার। প্রথম দিনেই অযোধ্যায় নামে জনতার ঢল। তৈরি হয় পদপিষ্ট হওয়ার পরিস্থিতিও। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খায় উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। এই সময়েই অযোধ্যায় আরও ১৩টি মন্দির নির্মাণের ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে যে ১৩টি নতুন মন্দিরের মধ্যে ছ’টি রামমন্দির প্রাঙ্গণের ভিতরে এবং সাতটি মন্দির চত্বরের বাইরে তৈরি করা হবে।
এনডিটিভিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ স্বামী গুরুদেব গিরিজি নতুন মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে খুঁটিনাটি জানান, রামমন্দির নির্মাণের কাজ আরও কতটা বাকি তা-ও সাক্ষাৎকারে জানান তিনি। তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত মাত্র এক তলার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সেই অবস্থায় মন্দির উদ্বোধন করা হয়েছিল। দোতলা নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। মধ্যভাগে একটি ডোমাকৃতির শিখর তৈরি করা হবে বলেও জানান কোষাধ্যক্ষ।
গুরুদেব গিরিজি আরও জানান, রামমন্দিরের কাজ শেষ হওয়ার পর আরও পাঁচটি মূল মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে। রামমন্দিরের পাশাপাশি শিব, গণেশ, সূর্যদেব এবং জগদম্বা দেবীর মন্দির তৈরি করা হবে বলে জানান তিনি। এই চারটি মন্দির রামমন্দির প্রাঙ্গণের চারটি কোণে তৈরি করা হবে।
মন্দির চত্বরের ভিতর হনুমানের মন্দির নির্মাণ করা হবে। চত্বরের ভিতর রয়েছে ‘সীতা রসোই’। যা সীতার রান্নাঘর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ‘সীতা রসোই’-এর পাশেই তৈরি করা হবে অন্নপূর্ণা দেবীর মন্দির। মন্দির প্রাঙ্গণের বাইরে বিশাল এলাকা জুড়ে বাল্মীকি, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, শবরী দেবী এবং জটায়ুর মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy