Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Domestic Violence

গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগে এক দশকে সাত বার নালিশ, প্রতি বারই স্বামীকে মুক্ত করেন স্ত্রী

বিয়ের পর বছর তেরো সুখে-শান্তিতেই কেটেছে। তবে তার পর সংসারে অশান্তি শুরু হয়। ২০১৫ সালে স্বামীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হন গুজরাতের বাসিন্দা সোনু মালি।

Representational Image of domestic violence

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
আমদাবাদ শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৩ ১৪:৫৩
Share: Save:

স্বামীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে থানায় নালিশ করেছেন। গার্হস্থ্য হিংসার সে মামলার জল গড়িয়েছে আদালতে। বিচারকের নির্দেশে স্ত্রীকে খোরপোশও দিতে হয়েছে। তবে আলাদা বসবাস করলেও স্বামী-স্ত্রীর ঝামেলা মেটেনি। এক-দু’বার নয়, গত এক দশকে সাত বার স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছেন। তবে প্রতি বারই তাঁকে জামিনে মুক্ত করেছেন স্ত্রী। গুজরাতের এই দম্পতির সাংসারিক অশান্তি শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে।

‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহেসানা জেলার কডী শহরের বাসিন্দা প্রেমচন্দ্র মালির সঙ্গে সোনুর বিয়ে হয়েছিল ২০০১ সালে। বিয়ের পর বছর তেরো সুখে-শান্তিতেই কেটেছে। তবে তার পর সংসারে অশান্তি শুরু হয়। ২০১৫ সালে স্বামীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে প্রথম বার পুলিশের দ্বারস্থ হন সোনু। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর স্ত্রীকে প্রতি মাসে দু’হাজার টাকা করে খোরপোশ দেওয়ার জন্য প্রেমচন্দ্রকে নির্দেশ দেয় আদালত। তবে প্রেমচন্দ্রের দাবি ছিল, দিনমজুরি করে সংসার চালানোর পর স্ত্রীকে খোরপোশ দিতে অপারগ তিনি। সময়মতো খোরপোশ দিতে পারেননি বলে তাঁর পাঁচ মাসের জেলও হয়েছিল। তবে সে বার স্বামীকে উদ্ধার করেন সোনু। সে সময় থেকে আলাদা বসবাস করতেন স্বামী-স্ত্রী। তবে তাঁদের ঝগড়াঝাঁটি থামেনি। কিছু দিন পর আবার একত্র বসবাস শুরু করেন তাঁরা। এ বার তাঁদের অশান্তি চরমে পৌঁছয়।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ২০১৬ সাল থেকে প্রায় প্রতি বছরই স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় গিয়েছেন সোনু। তবে প্রতি বারই তাঁকে থানার লকআপ থেকে ছাড়িয়ে এনেছেন। ২০১৯-২০ সালেও জেল হয় প্রেমচন্দ্রের। তবে সে সময়ও তাঁকে জেলমুক্ত করেন সোনু।

চলতি মাসের গোড়ায় আবার জেল হয়েছিল প্রেমচন্দ্রের। এ বারও তাঁর জামিন দেন সোনু। তবে এ বার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন প্রেমচন্দ্র। তাঁর দাবি, টাকাপয়সা থেকে শুরু করে মোবাইল পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছেন স্ত্রী। তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আর একদফা মারধর হয় বলে দাবি। অবশেষে নাকি পাকাপাকি ভাবে ঘর ছেড়েছেন প্রেমচন্দ্র। এ বার মায়ের সঙ্গে বসবাস করছেন তিনি। স্ত্রী এবং সন্তানের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষতি করার অভিযোগও এনেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Domestic Violence Gujarat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE