হরিয়ানার টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা যাদব হত্যাকাণ্ডে আবার একটি চার্জশিট জমা করল পুলিশ। দ্বিতীয় চার্জশিটেও রাধিকার বাবা দীপক যাদবকে মূল অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কেন রাধিকাকে খুন করা হয়েছে, তার ব্যাখ্যাও ৪০০ পাতার চার্জশিটে উল্লেখ করেছে হরিয়ানার গুরুগ্রাম পুলিশ।
গত বুধবার জেলা আদালতে রাধিকা খুনের চার্জশিট দাখিল করে গুরুগ্রামের পুলিশ। শুক্রবার বিষয়টি জানিয়েছে তারা। সূত্রের খবর, চার্জশিটে ইতিমধ্যে এই খুনের ঘটনায় ৩৫ জনের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, আত্মীয় থেকে শুরু করে গ্রামের লোকদের নানা ধরনের ‘কটূক্তি’র কারণে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন দীপক। সেই বিরক্তি এবং রাগ থেকেই কন্যা রাধিকাকে গুলি করে খুন করেন তিনি। নিজের সম্মান রক্ষার্থেই এই পদক্ষেপ বলে চার্জশিটে দাবি পুলিশের।
দীপক এবং রাধিকার মধ্যে বিবাদ ছিল দীর্ঘদিনের। সেই বিবাদের কেন্দ্রে ছিল রাধিকার টেনিস কোচিং সেন্টার। রাধিকার টেনিসের কোচিং করানো অপছন্দ ছিল দীপকের। তিনি চাইতেন না যে, রাধিকা কোচিং করান। বার বার আপত্তি জানানোর পরেও রাধিকা কোচিং করানো বন্ধ করেননি। আর তাঁর এই কাজের জন্য দীপককে নানা রকম ভাবে ‘কটাক্ষ’ করতেন আত্মীয় এবং গ্রামের লোকেরা। ফলে এখান থেকেই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। আর তার পরই রাধিকাকে গুলি করে খুন করেন দীপক।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, গত ১০ জুলাই রাধিকাকে বাড়িতেই গুলি করে খুন করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বাবা দীপকের বিরুদ্ধে। সেক্টর ৫৭-য় রাধিকাদের বাড়িতে ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টায় এই ঘটনা ঘটে। সেই সময় রাধিকা রান্নাঘরে ছিলেন। অভিযোগ, দীপক তাঁর লাইসেন্সড বন্দুক দিয়ে পিছন থেকে গুলি করেন রাধিকাকে। গুলি চলার আওয়াজ শুনে বাড়ির লোকেরা ভেবেছিলেন প্রেশার কুকার ফেটেছে। কিন্তু দীপকের ভাই কুলদীপ জানান, দোতলায় উঠে দেখেন, তাঁর ভাইঝি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাঁর পাশেই বসে দীপক। রাধিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। চার্জশিটে দাবি করা হয়, রাধিকাকে পর পর চারটি গুলি করে খুন করেন দীপক।