প্রেমিকার মাথায় দু’বার গুলি করেছিলেন অভিযুক্ত। দাবি তদন্তকারীদের। প্রতীকী ছবি।
প্রেমিককে বিয়ে করার জন্য বছরখানেক আগে দেশে ফিরেছিলেন কানাডায় কর্মরত এক তরুণী। তার পর থেকেই খোঁজ মিলছিল না তাঁর। সে দিন থেকেই বেপাত্তা ছিলেন তাঁর প্রেমিকও। তরুণীর বোনের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে হরিয়ানা পুলিশ। তাদের দাবি, প্রেমিকাকে অপহরণের পর খুন করে তাঁর দেহ গ্রামের বাড়ির জমিতে পুঁতে দিয়েছেন ওই যুবক।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার হরিয়ানার ভিবানী থানা এলাকায় একটি জমি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে নীলম নামে ২৩ বছরের ওই তরুণীর কঙ্কাল। আদতে রোহতকের বাসিন্দা নীলমকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগে তাঁর প্রেমিক সুনীলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত জুনে দেশে ফেরার পর থেকেই নীলমের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না বলে দাবি করেছিলেন তাঁর কাকার স্ত্রী। এ নিয়ে জুনেই হরিয়ানা পুলিশে অভিযোগও করেন নীলমের বোন রোশনি।
অভিযোগপত্রে রোশনি জানিয়েছিলেন, চাকরি করার জন্য কানাডায় গিয়েছিলেন নীলম। তবে গত বছরের জানুয়ারিতে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে নীলমকে দেশে ফিরতে বলেন সুনীল। তাঁর ফাঁদে পড়েই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন নীলম। তবে দেশে পা রাখার পর থেকে খোঁজ মিলছিল না দিদির। সে দিন থেকেই সুনীলও গায়েব হয়ে যান। পরিবারের সদস্যেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করলেও নীলমের সম্পর্কে কোনও খবর পাননি। অগত্যা এ নিয়ে হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজের কাছে দরবার করেন তাঁরা। এর পর ওই কেসটি ভিবানী থানায় পাঠানো হয়েছিল।
তদন্তকারীদের দাবি, জুনে দেশে ফেরার পর নীলমকে অপহরণ করেন অভিযুক্ত। এর পর তাঁর মাথায় দু’বার গুলি করে খুন করেন তাঁকে। এই অপরাধের প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁর দেহ পুঁতে দেন নিজেদের জমিতে। সে জন্য ১০ ফুট গভীর গর্তও খুঁড়েছিলেন সুনীল। তাঁর জমি থেকে কঙ্কাল উদ্ধারের পর ডিএনএর পরীক্ষার পর ধরা পড়ে, ওই কঙ্কালটি নীলমের। এর পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ভিবানী থানার পুলিশ। জেরায় নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে খুন-সহ আধ ডজনের বেশি অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকার রেকর্ড রয়েছে। তাঁর কাছে একাধিক বেআইনি অস্ত্রও রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy