হাথরস-কাণ্ডে নির্যাতিতা ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন কি না, সে ব্যাপারে সন্দিহান তারা। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে দেশ জুড়ে যে বিক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে, তার পিছনে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত কাজ করছে বলে দাবি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে তারা। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যে অজ্ঞাতপরিচয় চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের হয়ে গিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ভিন্ন জাতের মানুষের মধ্যে দাঙ্গা বাঁধিয়ে, যোগী আদিত্যনাথ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বিক্ষোভে ইন্ধন জোগাচ্ছেন কিছু মানুষ।
হাথরস-কাণ্ডে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিবিআই) মাধ্যমে তদন্তের সুপারিশ করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। সিবিআই আনুষ্ঠানিক ভাবে তার তদন্তভার হাতে নেওয়ার আগেই, রবিবার রাতে চাঁদপা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। তাতে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে Justiceforhathrasvictim.carrd.
কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে আমেরিকার ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’আন্দোলনের বিষয়বস্তুও ওই সাইটের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যে কারণে ১০৯ (মারাত্মক পরিণতি হতে পারে জেনেও অপরাধমূলক কাজে মদত জোগানো), ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ১২৪-এ (দেশদ্রোহ) এবং ১৫৩-এ (ভিন্ন ধর্ম এবং বিভিন্ন ভাষার মানুষের মধ্যে শত্রুতা বাড়ানো ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট)ধারায় এফআইআর করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫২-বি উপধারা অনুযায়ী জাতীয় সংহতি নষ্ট করা এবং ৪২০ উপধারায় প্রতারণার মামলা করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘ভণ্ডামি বেরিয়ে পড়েছে’, হাথরস-কাণ্ডে নীরবতা নিয়ে মোদীকে বিঁধলেন অধীর
আরও পড়ুন: হাথরস স্টেশনে বসে বিবেকানন্দ, এগিয়ে এলেন স্টেশন মাস্টার...