গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
ভিন্ন ধর্ম ও বর্ণে বিয়ে মানতে শিখতে হবে সমাজকে, কর্নাটকের এক দম্পতির করা মামলা নিয়ে স্পষ্ট মত জানাল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের মন্তব্য, ‘‘কোনও পুরুষ বা মহিলার অধিকার আছে নিজের সঙ্গী পছন্দ করার। আর সেটা মেনে নিতে শিখতে হবে সমাজকে। শিক্ষার এখনই উৎকৃষ্ট সময়।’’
বিচারপতি সঞ্জয়কৃষ্ণ কউল ও হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার জানায়, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিবাহ মেনে নেওয়াটা খুবই জরুরি একটি সামাজিক অনুশীলন। অভিভাবকরা শুধু ভিন ধর্মে বিবাহের জন্য যদি নিজের সন্তানকে দূরে ঠেলে দেন, তা কখনই আদর্শ সামাজিক রীতি হতে পারে না।
একদিকে যখন যোগী-রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, তারপর বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে ‘লভ জেহাদ’ বলে ভিন্ন ধর্মে বিবাহ আটকাতে চাইছে প্রশাসন, তখনই একেবারে উল্টো কথা জানাল দেশের শীর্ষ আদালত। শুধু তাই নয়, সামাজিক নিরাপত্তার ভার যাঁদের উপর, সেই পুলিশকেও এই ধরনের পরিস্থিতি সামাতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা জানাল আদালত।
বিচারপতীরাবলেছেন, ‘‘যত সময় পেরোচ্ছে, ততই এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা আরও বেশি করে নিজেদের জীবন সঙ্গী নিজেরাই খুঁজে নিচ্ছেন।’’ ভিন্ন ধর্মে বিবাহিতদের নিরাপত্তা নিয়েও বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলেছে আদালত।অনেক সময়েই দেখা যায় পরিবার বা সমাজের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করে নিরাপত্তার অভাবে ভোগেন অনেকে। পুলিশের দায়িত্ব তাঁদের যথেষ্ট নিরাপত্তা দেওয়া।
কর্নাটকের যুগল অভিযোগ করেছিলেন, মেয়ের বাড়ির লোকেরা প্রথমে তরুণীর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন।কারণ, এই যুগল পালিয়ে বিয়ে করে নিয়েছিলেন। পরে যুগলের পক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, এটি গুরুতর অপরাধ নয়, সেই কারণেই পুলিশ এফআইআর নিয়ে একেবারেই ঠিক করেনি।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এই যুগল ভিন্ন বর্ণের মানুষ। ২০২০ সালে মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় তাঁরা পালিয়ে বিয়ে করে নেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy