ছবি ইউটিউব থেকে নেওয়া
হিজাব বিতর্কে ইন্ধন দিলেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। শনিবার একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শিখ ধর্মে পাগড়ির মতো হিজাব ইসলাম ধর্মের অঙ্গ নয়। এ প্রসঙ্গে তিনি কোরানের উল্লেখ করে বলেন, ধর্মগ্রন্থে সাত বার হিজাবের উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু এটি মুসলিম মহিলাদের পোশাক রীতির অংশ নয়।
কর্নাটকে হিজাবে পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারিকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি বারংবার অশান্ত হয়ে উঠেছে কলেজ ক্যাম্পাস। হিজাবের পাল্টা গেরুয়া ওড়না পরে মাঠে নেমেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।
সাক্ষাৎকারে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘হিজাব ইসলামের অঙ্গ নয়। কোরানেও হিজাবের উল্লেখ রয়েছে মাত্র সাত বার। এটির সঙ্গে মহিলাদের পোশাক রীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এটি ‘পর্দার’ সঙ্গে সম্পর্কিত। যায় অর্থ আপনি ষখন কথা বলবেন, তার মাঝে একটি ‘পর্দা’ থাকা উচিত।’’
প্রসঙ্গত হিজাব বিতর্কে উঠে এসেছে শিখদের পাগড়ি পরার বিষয়টিও। হিজাব পরার পক্ষে যুক্তি হিসাবে বলা হচ্ছে শিখদের যদি পাগড়ি পরে কলেজে প্রবেশের অধিকার দেওয়া হয়, তবে কেন সুসলিম মেয়েদের হিজাব পরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এই বিষয়টির উল্লেখ করে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘হিজাব পরে কলেজে প্রবেশের অধিকারের স্বপক্ষে যুক্তি হিসাবে শিখদের পাগড়ির প্রসঙ্গ আনা হচ্ছে। কিন্তু এটা ঠিক নয়। কারণ পাগড়ি হল তাঁদের ধর্মের অঙ্গ। কিন্তু হিজাব ইসলাম ধর্মের অত্যাবশকীয় অঙ্গ নয়।’’ রাজ্যপালের মতে, পুরো বিতর্কটি মুসলিম নারীদের অগ্রগতিকে লাইনচ্যুত করার একটি ষড়যন্ত্র।
এ প্রসঙ্গে একটি উদ্ধৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘একটি অল্পবয়সি মেয়ে নবীর গৃহে প্রতিপালিত হয়েছিল। সে নবীর স্ত্রীর ভাইঝি। সে অসাধারণ সুন্দরী ছিল। এক দিন সে বলল, আমি চাই মানুষ আমার সৌন্দর্য দেখুক। আমার সৌন্দর্যে ঈশ্বরের অনুগ্রহ দেখুক এবং ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুক। ইসলামের প্রথম প্রজন্মের নারীরা এই ভাবেই আচারণ করত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy