—প্রতীকী ছবি।
মেঝেয় পড়েছিল পুনমের নিথর দেহ। ঘর লন্ডভন্ড। গায়েব ছিল বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রীও। যা দেখে প্রাথমিক ভাবে ডাকাতির উদ্দেশ্যেই খুন বলে ধরে নিয়েছিল পুলিশ। কিম্তু ‘ডাকাত’ ধরতে গিয়ে বেরিয়ে এল আসল তথ্য। ডাকাত নয়, প্ল্যান করে সুপারি কিলার দিয়ে পুনমকে খুন করেছে তাঁরই স্বামী! খুনে তাকে সাহায্য করেছিল তার দুই বন্ধু। খুনের মোটিভ জানতে পেরে তো চোখ কপালে পুলিশের! স্মার্টফোনের প্যাটার্ন লক কোড লুকিয়ে রাখায় জন্যই পুনমকে খুন করেছেন তাঁর স্বামী। নগদ ৮০,০০০ টাকায় দুই বন্ধুকে স্ত্রী খুনের সুপারি দিয়েছিল সে। খুনের অভিযোগে বুধবার উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির বাসিন্দা বিনীতকুমার দিবাকর নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশের কাছে বিনীত জানিয়েছে, মাস খানেক আগে একটি স্মার্টফোন কেনেন পুনম। তার পর থেকেই ফোনের দিকে ঝোঁক বাড়তে থাকে তাঁর। অবস্থা নাকি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, বিনীত বা তাঁদের ৪ বছরের মেয়েরও কোনও খেয়াল রাখতেন না পুনম। বারবার নাকি তাঁকে সাবধান করে বিনীত। বিনীতের কথা শোনা তো দূর, উল্টে কার্যকলাপ লুকানোর জন্য স্মার্টফোনে প্যাটার্ন লক কোড দিয়ে রাখে পুনম। আর তাতেই আরও সন্দেহ বাড়ে বিনীতের। বারবার বলা সত্ত্বেও পুনম লক কোড না জানানোয় তাঁকে খুনের ফন্দি আঁটে বিনীত। এর জন্য লক্ষ্ণণ আর কমল নামে দুই বন্ধুকে নগদ ৮০,০০০ টাকায় ভাড়া করে সে। দিন কয়েক আগে সন্ধ্যায় ওই দুই বন্ধু কাজের অছিলার তার বাড়িতে যায়। বিনীত তখন কর্মসূত্রে কানপুরে ছিল। পুনমকে ফোনে তার দুই বন্ধুর যাওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিল সে। ওই রাতেই বাড়িতে ঢুকে পুনমকে শ্বাসরোধ করে খুন করে তারা। তারপর খুনটাকে ডাকাতির রূপ দিতে ঘর লন্ডভন্ড করে মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেয়।
খুনের তদন্তে প্রাথমিক ভাবে পুলিশও তা ডাকাতি বলেই সন্দেহ করেছিল। কিন্তু ডাকাত পাকড়াওয়ের পরেই জানা যায় আসল কারণটা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy