একসঙ্গে যদি বাঁচার অধিকার না থাকে, তা হলে বেঁচে থেকে লাভ কী? একসঙ্গে বাঁচতে না পারলেও একসঙ্গে তো মরতে পারেন! প্রেমিকার সঙ্গে বিষ খাওয়ার আগে একটি ভিডিয়ো করেন ক্রিকেটার ঋষভ পন্থকে মৃত্যুর মুখ বাঁচিয়ে আনা যুবক উত্তরপ্রদেশের রজত কুমার। সেই ভিডিয়ো সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে (যদিও সেটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। সেই ভিডিয়ো পুলিশের হাতে এসেছে।
হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন রজত। তাঁর প্রেমিকা মনু কাশ্যপের মৃত্যু হয়েছে। দু’জনের বিয়েতে মত ছিল না দু’পক্ষের পরিবাররেই। আলাদা আলাদা ভাবে দু’বাড়ি থেকেই সম্বন্ধ করে দু’জনেরই বিয়ে ঠিক হয়েছিল। তার ঠিক আগেই রজত এবং মনু বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, মুজফ্ফরনগরের একটি আখক্ষেতে প্রেমিকাকে নিয়ে যান রজত। তার পর সেখানে একটি ভিডিয়ো করেন।
সেই ভিডিয়োয় রজতকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘যদি আমরা একসঙ্গে বাঁচতেই না পারি, তা হলে একসঙ্গে মরতে তো পারি!’’ তার পর ভিডিয়োটি শেষ হয়ে যায়। তার কিছু পরেই আখক্ষেত থেকে সঙ্কটজনক অবস্থায় রজত এবং তাঁর প্রেমিকাকে উদ্ধার করেন স্থানীয়েরা। হাসপাতালে দু’জনকেই নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন প্রেমিকার মৃত্যু হলেও, সঙ্কটজনক অবস্থায় এখনও হাসপাতালে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন রজত। মনুর মৃত্যুর পরই তাঁর পরিবার রজতের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছে।
২০২২ সালে ক্রিকেটার ঋষভ পন্থকে মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচিয়ে এনে সকলের নজর কেড়েছিলেন রজত এবং তাঁর এক সঙ্গী নিশু কুমার। গাড়ি নিয়ে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন পন্থ। রুরকির কাছে তাঁর মার্সিডিজ় ডিভাইডারে ধাক্কা মারে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে একটি কারখানায় কাজ করছিলেন রজত এবং নিশু। তাঁরা দেখতে পেয়েই উদ্ধারে এগিয়ে আসেন। তখনও জানতেন না দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িতে রয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটার ঋষভ পন্থ। গাড়ির ভিতর থেকে পন্থকে টেনে বার করেন। তাঁকে সময়মতো হাসপাতালে ভর্তি করানোরও ব্যবস্থা করেন রজত এবং নিশু। তাঁদের জন্যই নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন পন্থ। সুস্থ হয়ে দু’জনকে দু’টি স্কুটারও উপহার দিয়েছেন ক্রিকেটার।