ছবি: পিটিআই।
মার্চ শেষ হতে না হতেই দেশের একাংশে গরমের দাপট বেড়েছে। ইতিমধ্যেই কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর ছাড়িয়েছে। এই সময়ে যে পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার দরকার, স্বাভাবিকের তুলনায় তার ঘাটতি রয়েছে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে গরমের দাপটও বাড়ছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী দু’সপ্তাহ দেশের একাংশে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। ফলে আগেভাগেই এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, সারা দেশে মরসুমি বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের তুলনায় ৭ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। শুধুমাত্র উত্তর-পশ্চিম ভারতেই ঘাটতি ১৯ শতাংশ। এপ্রিলের শুরু থেকেই তাপমাত্রার পারদ আরও চড়বে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়বে এবং ক্রমশ সেটি তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটকের উত্তর ভাগে এবং বিদর্ভ অঞ্চলে।
মার্চের শেষর দিকেই এই সব অঞ্চলে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। ভ্যাপসা গরম থাকবে সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ, রায়লসীমা, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কারাইকল, কেরল এবং মাহেতে। তবে দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আগামী কয়েক দিন। সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়াও। বিহার, মেঘালয়ে কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। শিলাবৃষ্টি হয়েছে পূর্ব মধ্যপ্রদেশ, বিদর্ভ, ছত্তীসগঢ় এবং কয়েকটি উপকূলীয় অঞ্চলে।
সমতল অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যখন অন্ততপক্ষে ৪০ ডিগ্রি হয়, তখন সেই পরিস্থিতিকে তাপপ্রবাহ হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সে ক্ষেত্রে উপকূলীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি এবং পাহাড়ি অঞ্চলে ৩০ ডিগ্রি হলেই তাপপ্রবাহ হিসাবে ধরা হয়। মার্চের শুরুতেই মৌসম ভবন জানিয়েছিল, এ বছরে অত্যধিক গরম পড়বে। শুধু তাই-ই নয়, তাপপ্রবাহও অনেক বেশি সময় ধরে চলবে। মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি তাপপ্রবাহ হতে পারে দেশের বিভিন্ন অংশে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy