ভারতীয় মুদ্রার পতন অব্যাহত। পর পর ছ’দিন ধরে একটানা দরপতন ভারতীয় মুদ্রার। বুধবার ডলারের নিরিখে টাকার দাম ৮৭.৬৬-এ নেমে এসেছে, যা গত তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন। আর্থিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতীয় পণ্যের উপর চাপানো অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্কের জেরেই এই দরপতন।
মঙ্গলবার ডলারের নিরিখে টাকার দাম ৮৭.৬৮-এ নেমে ছিল। বুধবার তা হয়েছে ৮৭.৬৬, যা গত তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন। মার্কিন শুল্কবাণের জেরে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বাজার থেকে টাকা তুলে নেওয়ার জেরেই টাকা কমজোরি হচ্ছে বলে অনুমান। তবে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে দাবি, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে ডলার বিক্রির পর ভারতীয় মুদ্রার দরপতন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে।
বুধবার সকাল ৯টা ৩১ মিনিট থেকে ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক কার্যকর হয়েছে। এর জেরে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, কারণ এখন থেকে রফতানিকারকদের উপর চাপতে চলেছে ৫০ শতাংশ শুল্কের বোঝা। রফতানিকারক গোষ্ঠীগুলির অনুমান, এর ফলে ভারত থেকে আমেরিকায় বার্ষিক যে ৮৭ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৭৬২৯৪২ কোটি টাকা)-এর পণ্য রফতানি হয়, তার ৫৫ শতাংশ প্রভাবিত হতে পারে। একই সঙ্গে লাভবান হতে পারে ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ কিংবা চিনের মতো প্রতিযোগীরা।
আরও পড়ুন:
মুদ্রা বিশ্লেষক দিলীপ পারমার বলছেন, ‘‘ডলারের চাহিদা এবং সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্যহীনতার মধ্যে ভারতীয় মুদ্রার প্রতি পক্ষপাতিত্ব কম। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে মনে করা হচ্ছে, ভারতীয় মুদ্রার রেকর্ড পতন অবশ্যম্ভাবী।’’ তাই আপাতত জিএসটি ছাড়ের আশায় বুক বাঁধছেন ছোট ব্যবসায়ীরা।
অন্য দিকে, মঙ্গলবার সেনসেক্সের উল্লেখযোগ্য পতন হয়েছিল। ৮৪৯.৩৭ পয়েন্ট পড়ে দিনের শেষে থিতু হয়েছিল ৮০,৭৮৬.৫৪ পয়েন্টে। নিফ্টি-ও ২৫৫.৭০ নেমে ২৪,৭১২.০৫ পয়েন্টে গিয়ে ঠেকে। বুধবার গণেশ চতুর্থীর জন্য ভারতে শেয়ার বাজার বন্ধ। ভারতের অতিরিক্ত শুল্কের প্রভাব শেয়ার বাজারে কতটা পড়ে, বৃহস্পতিবার তার কিছুটা আন্দাজ পাওয়া যাবে।